গৌতম দেব। —ফাইল চিত্র
শিলিগুড়ি শহরের রোজই বাড়তে থাকা যানজট সমস্যা কী ভাবে মেটানো যায়, তা খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করল রাজ্য পূর্ত দফতর। বুধবার শিলিগুড়ি পূর্ত দফতরের বাংলোয় পূর্ত, জনস্বাস্থ্য কারগিরি, বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা-সহ বিভিন্ন দফতরের বাস্তুকারদের নিয়ে বৈঠক করেন রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। তার পরে মন্ত্রী জানান, হিলকার্ট রোড, সেবক রোডের মতো রাস্তায় যানজট কমাতে বিকল্প কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তার সমীক্ষা শুরু করেছে। পূর্ত দফতর ‘রাইটস’কে দিয়ে ওই কাজ করাচ্ছে। সংস্থার রিপোর্ট জমা পড়লে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা বা কাজের বিষয়গুলি সামনে আসবে।
গৌতমবাবুর কথায়, ‘‘শিলিগুড়ি শহর উত্তর পূর্বাঞ্চলের প্রবেশদ্বার। দিনে দিনে শহরের গুরুত্ব বেড়েছে। শহরের রাস্তা কম থাকায় এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে যানজট, পার্কিং নিয়ে সমস্যা। সরকার তা মেটাতে চায়। তাই পূর্ত দফতর সমীক্ষা করছে। আমাদেরও প্রস্তাব তাতে থাকবে।’’
গত ২২ অক্টোবর শিলিগুড়িতে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর দু’দিন পর, ২৪ অক্টোবর শিলিগুড়ি এবং জলপাইগুড়ি জেলার বেশ কিছু প্রকল্প নিয়ে বাস্তুকারদের সঙ্গে বৈঠক করেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং গৌতমবাবু। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে উত্তরবঙ্গের ওই সব বাছাই করা প্রকল্পের অগ্রগতি খতিয়ে দেখে, সমস্যা মিটিয়ে কাজ শুরু করার জন্য গৌতমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। নিয়মিত নজরদারি, বৈঠকের কথাও বলা হয়। এ দিন বাস্তুকারদের নিয়ে মন্ত্রী প্রথম বৈঠকটি করেন। সেখানে শিলিগুড়ির বিকল্প রাস্তাঘাট, বর্ধমান রোডে নির্মিয়মাণ উড়ালপুল, ফোর লেনের ইস্টার্ন বাইপাসের কাজকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
সোমবারই শিলিগুড়ির যানজট সমস্যা মেটানোর জন্য উদ্যোগী হতে বলে চিঠি দিয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার। সেখানে তিনি কোর্ট মোড়, হাসমিচক, মহানন্দা সেতু লাগোয়া মোড়, বিধান মার্কেট, পানিট্যাঙ্কি মোড়, চম্পাসারি মোড়, মহাবীরস্থান রেলগেটের মতো ১০টি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ট্র্যাফিক ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করার কথা বলেছেন। সেই হিসেবে হিলকার্ট রোড বা সেবক রোডে উড়ালপুল, ফুটওভারব্রিজ, জায়গা পেলে কোথাও কোথাও সমান্তরাল সার্ভিস রোড বা শিলিগুডির স্বার্থে মনোরেল বা চক্ররেলের মতো প্রকল্প জরুরি বলে শাসক দলের নেতারাই মনে করছেন। কিন্তু রেল কেন্দ্রীয় বিষয় হওয়ায় তা সময়সাপেক্ষ বিষয়। সে ক্ষেত্রে রাজ্যের পক্ষে কী করা সম্ভব তা ‘রাইটসের ’সমীক্ষায় দেখে নিতে চাইছেন।
বাম আমলেও নব্বইয়ের দশকে একই সংস্থাকে দিয়ে সমীক্ষা করিয়েছিল রাজ্য। সেবার রাইটস জানায়, গাড়ির বৃদ্ধির হারে শিলিগুড়ি দেশের মধ্যে প্রথম সারিতে। এ বার তৃণমূল সরকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে নিতে চাইছে। এ ছাড়াও শাসক দল শিলিগুড়ির ট্র্যাফিক ব্যবস্থা শোধরানোর বহু আবেদনও পেয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy