রবিবার সকালে নিউ চামটা চা বাগানের চা পর্যটন রিসর্টে শীর্ষ সম্মেলনের পর্যটন সংক্রান্ত দ্বিতীয় ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক। নিজস্ব চিত্র
শিলিগুড়িকে দেশের সংস্কৃতি, বৈচিত্র্য, ঐতিহ্য এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের ‘প্রতিমূর্তি’ হিসাবে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের প্রতিনিধিদের সামনে তুলে ধরলেন কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রী জি কিসান রেড্ডি।
রবিবার সকালে শহর লাগোয়া নিউ চামটা চা বাগানের চা পর্যটন রিসর্টে শীর্ষ সম্মেলনের পর্যটন সংক্রান্ত দ্বিতীয় ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক বসে। ২০টি দেশ এবং আমন্ত্রিত দেশের প্রতিনিধিদের সামনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, শিলিগুড়ি শহর দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের প্রবেশদ্বার। তাঁর কথায়, ‘‘মন্দির, গুম্ফার মতো আধ্যাত্মিক ক্ষেত্র থেকে চা বাগান, জঙ্গল, বন্যপ্রাণ, অভয়ারণ্য, জাতীয় উদ্যান— কী নেই! সঙ্গে অ্যাডভেঞ্চার ক্যাম্পিং, র্যাফ্টিং থেকে টয় ট্রেন সব এখানে রয়েছে।’’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এর পর পর্যটন নিয়ে দেশের আগামী লক্ষ্য, নীতি এবং ভাবনার কথা তুলে ধরেন। পরে কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু প্রতিমন্ত্রী জন বার্লা রাজ্যের সংস্কৃতি, শিক্ষা, সাহিত্যের পরিসরটি প্রতিনিধিদের সামনে তুলে ধরেন। রবিবারের সকাল শুরু হয়েছিল যোগ সেশনের মাধ্যমে।
গত শনিবার কার্শিয়াঙে অ্যাডভেঞ্চার টুরিজ়মের নীতি প্রণয়ন নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। তার পরে এ দিন মূল সম্মেলনে গ্রিন টুরিজ়ম বা পরিবেশবান্ধব পর্যটন নিয়ে তুরস্ক, ডিজিটালাইজ়েশন নিয়ে সৌদি আরব, স্কিলিং নিয়ে অস্ট্রেলিয়া, ডেস্টিনেশন ম্যানেজমেন্ট নিয়ে ইতালির প্রতিনিধিরা বক্তব্য তুলে ধরেন। রাজ্যের তৈরি হস্তশিল্পের বাজারও সম্মেলন-স্থলে ঘুরে দেখেন প্রতিনিধিরা। পরে বিভিন্ন দেশ, প্রতিনিধিদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে। নৈশভোজে সাংস্কৃতিক আসরে যোগ দেন প্রতিনিধিরা।
আজ, সোমবার বিদেশি প্রতিনিধিরা ঘুম স্টেশনে যাবেন। সেখান থেকে টয় ট্রেনে বাতাসিয়া লুপ হয়ে দার্জিলিং। রাজভবন ঘোরা এবং মধ্যাহ্নভোজের পর ম্যাল চৌরাস্তায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সেরে সমতলে ফিরবেন। এর জন্য দার্জিলিং রাজভবনে এসেছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy