প্রতীকী ছবি।
লকডাউন ওয়ান ঘোষণার পরে জনজীবন স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতেই রোজ নতুন করে দক্ষিণ দিনাজপুরে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। শুক্রবার একসঙ্গে আরও ৪ পরিযায়ী শ্রমিকের পজ়িটিভ রিপোর্ট মিলেছে। ২৪ ঘণ্টা আগেই, বৃহস্পতিবার একসঙ্গে ১৭ জনের করোনা পজ়িটিভ ধরা পড়ে।
এ দিন আক্রান্ত চার জনই তপন ব্লকের হরসুরার বাসিন্দা। গত প্রায় ১২ দিন ধরে মালদহ মেডিক্যালে বকেয়া পড়ে থাকা নমুনার রিপোর্ট আসতেই জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। এতে গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কায় ভুগছেন বাসিন্দাদের একাংশ। হোম কোয়রান্টিনে থাকা ওই চার শ্রমিকের লালারস সংগ্রহ করে ৩ জুন পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, এর ফলে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬৬।
আক্রান্তদের বালুরঘাট কোভিড হাসপাতালে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে৷ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে জানান, আক্রান্তদের সংস্পর্শে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে আসা পরিজনদের কোয়রান্টিন করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার আক্রান্ত ১৭ জনের প্রায় সকলকেই এ দিন কোভিড হাসপাতালে আনা হয়েছে। এর আগের আক্রান্তদের মধ্যে ৪২ জনই সুস্থ হয়ে গিয়েছেন বলে স্বাস্থ্য দফতরের দাবি।
প্রশাসন সূত্রের খবর মালদহ মেডিক্যালে ব্যাকলগ ক্লিয়ার শুরু হয়েছে। তবে এখনও শতাধিক নমুনা পরীক্ষা বাকি বলে স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে। ওই নমুনাগুলি থেকেই বৃহস্পতিবার ১৭টি এবং এ দিন সকালে ৪ জনের পজ়িটিভ এসেছে।
লকডাউন পরবর্তী পরিস্থিতিতে অফিস-আদালত, হোটেল-রেস্তরাঁ, বাজার, শপিংমল, গণপরিবহণ খুলে গিয়েছে, আগের মতোই স্বাভাবিক ভাবে ছন্দে লোকজন ভিড় করে বাজারঘাট করছেন, মাস্ক ছাড়াই ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এই সময়ে জেলায় করোনা পজ়িটিভ বেড়ে চলায় গণসংক্রমণের আশঙ্কা ব্যাপক ভাবে বাড়ছে। কেননা আক্রান্তদের অধিকাংশই হোম কোয়রান্টিনে থাকছেন। ওই অবস্থায় উপসর্গহীণ শ্রমিকদের একাংশ হাট ও বাজারে কাজ করতে যাচ্ছেন। ভিড়ে মিশে বাজার করছেন। ফলে গোষ্ঠী সংক্রমণ যে হবে না, জেলার স্বাস্থ্যকর্তারাও তা জোর দিয়ে বলতে পারছেন না।
অবশ্য লালারসের রিপোর্ট আসার আগেই অনেকে সুস্থ হয়ে উঠছেন বলে জানিয়েছেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। তবে নমুনা সংগ্রহের পরিমাণ কমে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এ দিন অবশ্য মালদহ মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষের তরফে রোজ ৩০০টি করে নমুনা সংগ্রহ করে পাঠাতে বলা হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy