Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Forest Minister

দেখা না গেলেও বাঘ আছে, ‘দৃঢ় বিশ্বাস’ বনমন্ত্রীর

২০১০ সালে এনটিসিএ-র রিপোর্টে নর্দান ওয়েস্ট বেঙ্গলে বাঘের সংখ্যার জায়গাটি ফাঁকা রাখা ছিল। ২০১৪ সালের রিপোর্টে অবশ্য ওই কলামে তিনটি বাঘের উল্লেখ করা হয়।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বক্সা শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০১৯ ০৪:৩৪
Share: Save:

বক্সায় বাঘ থাকার ব্যাপারে এ বার জোর সওয়াল করলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী ব্রাত্য বসু। কিন্তু বাঘের সংখ্যা কত, সেই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য দিতে পারেননি তিনি।

২০১০ সালে এনটিসিএ-র রিপোর্টে নর্দান ওয়েস্ট বেঙ্গলে বাঘের সংখ্যার জায়গাটি ফাঁকা রাখা ছিল। ২০১৪ সালের রিপোর্টে অবশ্য ওই কলামে তিনটি বাঘের উল্লেখ করা হয়। কিন্তু জুলাইয়ে এনটিসিএ ২০১৮ সালে পেশ করা রিপোর্টে বাঘের সংখ্যা শূন্য দেখানোয় শুরু হয় বিতর্ক। এনটিসিএ-র এই রিপোর্ট প্রকাশের পরও বন দফতরের কর্তারা বক্সায় বাঘ রয়েছে বলে দাবি করেছিলেন। সেই সময় তাদের যুক্তি ছিল, এনটিসিএ-র গণনা একটা নির্দিষ্ট সময়ে হয়। সেই সময় তাঁরা বাঘের সন্ধান না-ই পেতে পারেন। তার মানে এই নয় যে, বক্সায় বাঘ নেই।

বৃহস্পতিবার বক্সায় এসে বক্সায় বাঘ থাকার বিষয়ে একই দাবি করলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী ব্রাত্য বসু। রাজাভাতখাওয়ায় এ দিন একটি কর্মশালায় যোগ দেন তিনি। বনমন্ত্রী বলেন, “আমার দৃঢ় বিশ্বাস বক্সায় বাঘ রয়েছে। বাঘের পায়ের ছাপ থেকে শুরু করে যার অন্য প্রমাণও মিলেছে। শুধু ছবি পাওয়া যায়নি।” সেক্ষেত্রে বক্সায় বাঘের সংখ্যা এই মুহূর্তে কত, তা জানতে চাওয়া হলে অবশ্য মন্ত্রী বলেন, “আমি বলতে পারব না।” মন্ত্রী এ দিন জানান, বক্সায় বাঘের অস্তিত্ব খুঁজে পেতে ট্র্যাপ ক্যামেরা যেমন কাজ করছে তা করবে। সেইসঙ্গে সুন্দরবনের মতো এ বার এই জঙ্গলে ড্রোনেরও ব্যবহার হবে। বন দফতর সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই দুটি ড্রোন বক্সায় বাঘ খোঁজার কাজ শুরু করবে। সেই সঙ্গে খুব শীঘ্রই অসম থেকে ছ’টি বাঘ আনা হবে বলেও জানান বনমন্ত্রী। এ দিনের কর্মশালা থেকে বনমন্ত্রী জানান, খুব শীঘ্রই বক্সার রাজাভাতখাওয়া শকুন প্রজনন কেন্দ্র থেকে বেশ কয়েকটি শকুন ছাড়া হবে। সেইসঙ্গে ৮ নভেম্বর কোচবিহারের পাতলাখাওয়াতে তিনটি গন্ডারও ছাড়া হবে।

দীর্ঘদিন থেকেই বন দফতরে কর্মী-সঙ্কট চলছে। এ দিনের কর্মশালায় সেই বিষয়টি নিয়ে সরব হন বন কর্তাদের একাংশ। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের এক কর্তা বলেন, এই মুহূর্তে প্রয়োজনের চেয়ে ষাট শতাংশ কর্মী আমাদের কম রয়েছে। যার উত্তরে বনমন্ত্রী অবশ্য জানান, আমরা কর্মী নিয়োগের চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যেই সেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করি কর্মীদের অপ্রতুলতা কাটবে।

গত এক মাস ধরে ট্রেন চালকদের তৎপরতায় হাতির সঙ্গে বন্যপ্রাণীদের সংঘাতের একের পর এক ঘটনা এড়ানোর দাবি করে এসেছেন রেল কর্তারা। যদিও এর সাফল্য অবশ্য রেল কর্তাদের দিতে চাননি বনমন্ত্রী। তাঁর সাফ কথা, ‘‘সংঘাত এড়ানোয় ট্রেন চালকদের ধন্যবাদ। কিন্তু আমাদের দফতরের আধিকারিকদের নিয়মিত সচেতনতামূলক কর্মসূচির জন্যই এটা সম্ভব হচ্ছে।’’ একই সঙ্গে বন্যপ্রাণের সঙ্গে মানুষের সংঘাতও অনেকটা কমিয়ে আনা গিয়েছে বলে জানান বনমন্ত্রী। তাঁদের উদ্যোগে রেড পান্ডা সংরক্ষণের কাজও অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে বলে এ দিনের কর্মশালায় দাবি করেন বনকর্তারা।

অন্য বিষয়গুলি:

Tiger Buxa Forest Minister Bratya Basu
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy