ভেঙে গুঁড়িয়ে ফেলা হচ্ছে বন দফতরের জমিতে তৈরি ‘অবৈধ’ রিসর্ট।কালচিনির দক্ষিণ মেন্দাবাড়িতে। নিজস্ব চিত্র।
চালু হওয়ার আগেই ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল বন দফতরের জমিতে তৈরি ‘অবৈধ’ রিসর্ট। বন দফতরের অভিযোগ, জলদাপাড়া বন বিভাগের চিলাপাতা পর্যটন কেন্দ্র লাগোয়া কালচিনি ব্লকের দক্ষিণ মেন্দাবাড়ির বানিয়া নদী সংলগ্ন এলাকায় অবৈধ ভাবে জমি দখল করে তৈরি হয়েছিল বিশাল রিসর্টটি। শুক্রবার ওই সরকারি জমি জবরদখলের বিরুদ্ধে অভিযানে নামেন জলদাপাড়া বন বিভাগের আধিকারিক ও বনকর্মীরা। তখনই বুলডোজ়ার চালিয়ে সম্পূর্ণ ভেঙে দেওয়া হয় রিসর্টটি। ঘটনাস্থল উপস্থিত ছিল বিরাট পুলিশ বাহিনী। জলদাপাড়া বন বিভাগের অতিরিক্ত বন্যপ্রাণ আধিকারিক নভোজিৎ দে বলেছেন, ‘‘আমরা সমীক্ষা চালিয়ে জানতে পারি, রিসর্টটির অধিকাংশই বন দফতরের জমির উপরে ছিল। ফলে, তা ভেঙে ফেলা হয়।’’
বন দফতর সূত্রে খবর, রিসর্টটি যে জমির উপরে তৈরি, গত বছর মার্চ মাসে ভূমি সংস্কার দফতরকে সেই জমিটি সমীক্ষা করতে বলা হয়েছিল। তবে মাঝে নির্বাচন থাকায় কাজে কিছুটা বাধা পড়ে। গত মাসে বন দফতরকে রিপোর্ট দেয় ভূমি সংস্কার দফতর। রিপোর্টে দেখা যায়, রিসর্টের ৯০ শতাংশেরও বেশি জমি বন দফতরের অধীনে। বন দফতর আরও জানায়, এই সমীক্ষা শুরুর আগে রিসর্টের নির্মাণকাজ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল তারা। কিন্তু তা মেনেই সম্পূর্ণ রিসর্টটি তৈরি করা হয়।
বন কর্তাদের বক্তব্য, অবৈধ রিসর্টটি ভেঙে বন দফতরের জমিটি দখলমুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরেও, তাদের সঙ্গে কোনও রকম যোগাযোগ করেনি রিসর্টের মালিক পক্ষ। এমনকি শুক্রবার যখন রিসর্টটি ভাঙা হয়, তখনও সেখানে মালিক পক্ষের কেউ ছিলেন না বলে জানিয়েছে পুলিশ। রিসর্টটি চালু না হওয়ায়, ছিলেন না কোনও অতিথিও।
পর্যটন ব্যবসায়ীদের একাংশের দাবি, এই রকম বহু অবৈধ রিসর্ট, লজ বা হোটেল চিলাপাতা ও তার আশপাশের এলাকায় গজিয়ে উঠেছে। এ প্রসঙ্গে চিলাপাতা ইকো টুরিজ়ম সোস্যাইটির সভাপতি গণেশ শাহ বলেন, ‘‘আমাদের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই এক শ্রেণির দালাল সরকারি জমি অবৈধ ভাবে বিক্রি করে দিচ্ছে। আর যারা কিনছেন, তাঁরাও কোনও খোঁজ খবর নিচ্ছেন না। দিনের পর দিন এটা বাড়ছে। এর তদন্ত হওয়া উচিত।’’ জলদাপাড়ার অতিরিক্ত বন্যপ্রাণ আধিকারিক নভোজিৎ দে বলেন, ‘‘আগামী দিনে আমরা এ রকম আরও সমীক্ষা চালাব। বন দফতরের জমিতে তৈরি সমস্ত অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থানেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy