মারমুখী: টোটো থামাতে বাঁশের মারের ভয়। বৃহস্পতিবার জলপাই মোড়ে। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক
রুটিরুজির প্রশ্ন তুলে ডাকা হয়েছিল ধর্মঘট। এদিকে সেই ধর্মঘট সফল করতেই পেশিশক্তি ব্যবহারের অভিযোগ উঠল।
বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি শহর ও লাগোয়া এলাকায় টোটো ধর্মঘট ডেকেছিল উত্তরবঙ্গ টোটো ওনার্স অ্যান্ড ড্রাইভার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। এ দিন যাঁরা টোটো নিয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন তাঁদের আটকাতে ধর্মঘট চলাকালীন জোর জবরদস্তি, দাদাগিরির অভিযোগ উঠেছে টোটো চালক এবং মালিকদের একাংশের বিরুদ্ধে। বাঁশ, লাঠি নিয়ে রাস্তায় নেমে রাস্তায় থাকা টোটো বন্ধ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। কয়েকজন চালককে মারধরের অভিযোগ ওঠে। সকালের দিকে জলপাইমোড় এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। পরে মাল্লাগুড়ি, সেবক রোড এলাকাতেও জোর করে রাস্তায় থাকা টোটো বন্ধ করা হয় বলে অভিযোগ।
৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট ডাকা হলেও ২৪ ঘণ্টা শেষের আগেই শহরে টোটো ধর্মঘট তুলে নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে সংগঠনটি এই ঘোষণা করেছে। সংগঠনের দাবি, ধর্মঘটের জেরে সংসার চালাতে অনেক টোটো চালক সমস্যায় পড়েছিলেন। তাঁদের কথা ভাবা হয়েছে। আবার অস্থায়ী টিন নম্বরের পরিবর্তে নতুন রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেওয়ার সময় সরকারি নির্দেশিকায় উল্লেখ থাকা মডেলের টোটো নষ্ট করা যাবে না বলে প্রশাসনের একটি বিজ্ঞপ্তিকেও ধর্মঘট তুলে নেওয়ার কারণ হিসাবে সংগঠনের মালিকেরা জানিয়েছেন। এ দিনের ধর্মঘটে ভোগান্তি হয় শহরের বাসিন্দাদের। টোটো আটকানোর ঘটনা সেই সমস্যা আরও বাড়িয়েছে। স্কুল, কলেজ থেকে অফিস থেকে হাসপাতাল, টোটো ধর্মঘটে সমস্যায় পড়েছেন সব জায়গার যাত্রীই।
সংগঠনের তরফে বিপ্লব দত্ত বলেন, ‘‘কারও অসুবিধা হলে বা কোনও ঘটনা ঘটলে আমরা দুঃখিত। কিন্তু পরিবহণ দফতরই গা জোয়ারি করছে।’’ এ দিন সকাল থেকে মাটিগাড়া পরিবহণ নগরীতে টিন নম্বর থাকা ৭২টি টোটো পরিবহণ দফতরের তরফে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এগুলির মালিককে এ বার ই-রিকশা কিনে অন্য গাড়ির মত রেজিস্ট্রেশন, বিমা, কর দিয়ে তা রাস্তায়
নামাতে হবে। মালিকদের দাবি, প্রশাসনের নির্দেশ রয়েছে নতুন ই-রিকশা রাস্তার না নামা পর্যন্ত ওই টোটো নষ্ট করা যাবে না। কিন্তু পরিবহণ দফতরই তা মানছে না বলে অভিযোগ। এ দিন দুপুরে মাটিগাড়ার পরিবহণ নগরীতে টোটো চালক, মালিকেরা বিক্ষোভ দেখায়।
শিলিগুড়ির মহকুমা পরিবহণ আধিকারিক নবীন অধিকারী বলেন, ‘‘সরকারি নিয়মে আমাদের কাজ চলবে। পুরনো টিন নম্বরের টোটো নষ্ট করে নতুন ই-রিকশা নামাতে হবে মালিকদের।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy