নিরাপদ স্থানের খোঁজ। নিজস্ব চিত্র
নদীর পাড়ে বাস চিন্তা বারোমাস- -এই প্রবাদই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে মহানন্দার তীরে থাকা মালদহের দুই শহরের বাসিন্দাদের মনে। চলতি মরসুমে দ্বিতীয় বার ঘরবাড়ি ছেড়ে সংসার ত্রিপলের ছাউনিতে। পুজোর মুখে মহানন্দার জলে প্লাবিত হয়ে আকাশের নিচে দিন কাটছে ইংরেজবাজার ও পুরাতন মালদহ শহরের নদীপাড়ের বাসিন্দাদের। পুরসভা বা প্রশাসনের তরফে সাহায্য মিলছে না বলে অভিযোগ বানভাসিদের।
পুরাতন মালদহ ও ইংরেজবাজার শহরের মধ্যে দিয়ে বয়ে গিয়েছে মহানন্দা নদী। নদীতীরের দুই শহরের হাজার হাজার পরিবারের বসবাস। মহানন্দার জল বাড়তেই ঘরবাড়ি ছেড়ে উঁচু জায়গায় আশ্রয় নেন অসংরক্ষিত এলাকার বাসিন্দারা। মাসখানেক আগে মহানন্দা চরম বিপদসীমার উপর দিয়ে বইতে শুরু করায় প্লাবিত হন দুই শহরের সংরক্ষিত এলাকার মানুষেরাও। স্কুল, সরকারি প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছিলেন অনেকে। মহানন্দার জল নামতেই ঘরে ফিরতে শুরু করেন তাঁরা।
এরই মধ্যে উত্তরবঙ্গে টানা বৃষ্টিতে ফের ফুলেফেঁপে উঠেছে মহানন্দা। মহানন্দার জল এখন চরম বিপদসীমা ছুঁইছুই। এমন অবস্থায় ফের ঘরবাড়ি ছেড়ে উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিচ্ছেন নদীতীরের বাসিন্দারা। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ইংরেজবাজার শহরের ৮, ৯, ১২, ২০ এবং পুরাতন মালদহের ৯ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডের একাংশ প্লাবিত হয়েছেন। নৌকায় বাড়ির আসবাবপত্র উঁচু জায়গায় নিয়ে যেতে ব্যস্ত নদীতীরের বাসিন্দারা।
ফুলমতি সিংহ, ভানু হালদার বলেন, “বর্ষায় মহানন্দার জল বাড়লে ঘরবাড়ি ছেড়ে উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিতে হয়। এ বার আগে জল নেমে যাওয়ায় ভেবেছিলাম পুজোর সময় বাড়িতেই দিন কাটবে। কিন্তু ফের মহানন্দার জল বেড়েছে। তাই ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে হচ্ছে।”
ইংরেজবাজার ও পুরাতন মালদহ পুরসভার প্রশাসক নীহাররঞ্জন ঘোষ ও কার্তিক ঘোষ বলেন, “এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। উঁচু জায়গায় বানভাসিদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy