Advertisement
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

দাবানলের মতোই ছড়াল উদ্বেগ বার্তাও

মঙ্গলবার সকালে যখন আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার খবর এল, স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন অনেকেই।

সাফ: সোমবার রাতে জলদাপাড়ার জঙ্গলে আগুনের পর মঙ্গলবার সকালের দৃশ্য।  ছবি: বন দফতরের সৌজন্যে

সাফ: সোমবার রাতে জলদাপাড়ার জঙ্গলে আগুনের পর মঙ্গলবার সকালের দৃশ্য। ছবি: বন দফতরের সৌজন্যে

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০২০ ০৮:০৩
Share: Save:

অস্ট্রেলিয়ার সাম্প্রতিক দাবানলের ছবি বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়েছিল সোশ্যাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে। ভয়ার্ত ও যন্ত্রণাক্লিষ্ট ক্যাঙ্গারু বা বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর ছবিতে বেদনাহত হয়েছিল পৃথিবী। সোমবার রাত থেকে জলদাপাডার আগুনের ছবিও ভাইরাল হতেই একই ভাবে আশঙ্কা-উদ্বেগ আর ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ল নেটিজেনদের মধ্যে। সারারাত ধরে চলল প্রার্থনাও।

মঙ্গলবার সকালে যখন আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার খবর এল, স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন অনেকেই। সেইসঙ্গেই অনেকে আবেদন করলেন, “এমন ঘটনা যাতে আর কোনও ভাবেই না ঘটে, সেই দিকে যেন নজর রাখে বন দফতর।” দাবি উঠল, কেন উত্তরবঙ্গের অন্যতম এই অভয়ারণ্যে আগুন ধরল সেই বিষয়টি যেন খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয় বন দফতর। দফতর অবশ্য এ দিন জানিয়ে দেয়, আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। নতুন করে আর আগুন লাগার আশঙ্কা নেই।

সোমবার রাতে আগুন লাগে জলদাপাড়ায়। দ্রুত সোশ্যাল নেটওয়ার্কে ছবি দিয়ে ভাইরাল হতে শুরু করে খবরটা। কেন, কীভাবে আগুন লাগল তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয় ফেসবুকে। রাতেই এক ব্যক্তি ফেসবুকে লেখেন, ‘বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবসে আগুনে জ্বলতে দেখা গেল জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে।’ আর একজন লিখেছেন, ‘জলদাপাড়ায় অবুঝ নিষ্পাপ পশুদের জন্য ভগবানের কাছে প্রার্থনা করুন। পশুগুলোর যেন কিছু না হয়। তারা যেন ভয়াবহ আগুন থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারে।’ ‘আমার ফালাকাটা’ নামে একটি ফেসবুক পেজে আবেদন করা হয়, ‘জলদাপাড়া জঙ্গলে ভয়াবহ আগুন। প্রার্থনা করুন সবাই জঙ্গলের সমস্ত পশুপাখিদের জন্য।’ এ দিন সকাল পর্যন্ত সেই উৎকণ্ঠা অব্যাহত ছিল।

এ দিন কোচবিহারের এক বাসিন্দা লিখেছেন, ‘জলদাপাড়া অভয়ারণ্যে আগুন নেভাতে বায়ুসেনার হেলিকপ্টার জরুরি। এটা আমাদের জাতীয় সম্পদ। উত্তরবঙ্গের অহঙ্কার। একে রক্ষা করতেই হবে।’ ওই পোস্টের কমেন্ট বক্সে অসীম অধিকারী লিখেছেন, ‘এর জন্য সবরকম প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হোক, মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গে সফরে আছেন। উনি এই বিষয়ে কিছু নির্দেশ দেবেন আশা রাখি।’ অনেকেই দাবি করেন, দাবানল, না কি অন্য কোনও কারণে এমন হয়েছে তা দেখা দরকার। স্বস্তির কথা জানিয়ে একজন আবার লেখেন, ‘জলদাপাড়া উদ্যানে যে ভয়াবহ আগুন লেগেছিল, রাত ১২টায় বন দফতরের তৎপরতায় তা নিভে যায়। এতে প্রায় ৭০ হেক্টরের বেশি কাশবন পুড়ে যায়।’

অন্য বিষয়গুলি:

Fire Jaldapara Sanctuary
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy