খোঁজ: বনদফতরের তল্লাশি। নিজস্ব চিত্র
চিতাবাঘ নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় একটি নির্মীয়মাণ উপনগরী চত্বরে। শুক্রবার রাতে সেখানে চিতাবাঘ দেখা যায় বলে দাবি। ওই ঘটনায় শনিবারও সুনসান ছিল লোয়ার বাগডোগরা এবং আঠারোখাই পঞ্চায়েতের কয়েকটি পাড়া। শনিবারই এলাকায় খাঁচা পাতার আবেদন জমা করেছে ওই উপনগরী কর্তৃপক্ষ। খাঁচা পাতা হবে কিনা তা নিয়ে সমীক্ষা শুরু করেছে বন দফতর। তবে লকডাউনের মধ্যে ভিড় নিয়ন্ত্রণের যে কাজ করতে পুলিশ হিমশিম খাচ্ছিল, তা সহজ করে দিয়েছে চিতাবাঘের ভয়। ওই এলাকায় সন্ধের পর একেবারেই বাড়ির বাইরে না বেরনোর পরামর্শ দিয়েছে বন দফতর। ফাঁসিদেওয়ার হাঁসখোয়া চা বাগান এলাকাতেও চিতাবাঘের দেখা মিলেছে বলে বন দফতর সূত্রে খবর।
পুলিশ এবং বন দফতর সূত্রে খবর, বাগডোগরা রেঞ্জের অধীনে থাকা উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন গোসাইপুর এলাকায় শুক্রবার রাতে দেখা মিলেছে চিতাবাঘের। লোয়ার বাগডোগরা পঞ্চায়েত এলাকার যুব তৃণমূল নেতা নীরেন রায় বলেন, ‘‘উপনগরীর মধ্যে ঢুকে একটি গরুর উপর হামলা করছিল বলে এক নিরাপত্তারক্ষী দেখেন। তারপর বন দফতরে খবর দেওয়া হয়েছে।’’ প্রস্তাবিত উপনগরীর মধ্যেই জঙ্গলে চলে যায় চিতাবাঘ। তারপর বাগডোগরা রে়ঞ্জের বনকর্মীরা গিয়ে পটকা ফাটান এলাকায়। লোয়ার বাগডোগরার লচকা নদী সংলগ্ন রূপ সিংহজোত, সলকাভিটা, বাতালিভিটা নিমতলা, আঠারোখাই পঞ্চায়েতের ভরতবস্তি, বড় লচকা, রঙ্গিয়াজোত, বাটালিগুড়ি ঘন জনবসতি পূর্ণ এলাকা। আঠারোখাইয়ের প্রধান অভিজিৎ পাল বলেন, ‘‘এলাকার মানুষের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক রয়েছে। বন দফতরের উচিত, খাঁচা বসানো।’’ যদিও শনিবার সকাল পর্যন্ত আর ওই চিতাবাঘের দেখা মেলেনি।
কার্শিয়াং ডিভিশনের বনাধিকারিক শেখ ফরিদ বলেন, ‘‘খাঁচা বসানোর আবেদন পেয়েছি। কিন্তু এলাকায় গিয়ে সমীক্ষা করেই তারপর যা করার করা হবে।’’ এ দিন বন আধিকারিকরা এলাকায় গিয়ে সমীক্ষাও করেন। তবে সন্ধ্যে পর্যন্ত খাঁচা এলাকায় পাতা হয়নি বলেই বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy