মালদহের গাজলের আদিনায় হিমঘর থেকে বের করা আলু বাছাই করছেন মহিলারা। —নিজস্ব চিত্র।
হিমঘরে আলু মজুতের সময়সীমা বাড়িয়েছে রাজ্য সরকার। তবে চাষের মরসুমে হিমঘর থেকে আলু বের করার ‘হিড়িক’ পড়েছে মালদহে। চাষিদের দাবি, খুচরো বাজারে আলুর দাম কেজি প্রতি ২০ টাকা রয়েছে। ফলে, পাইকারি বাজারেও আলুর দাম কেজি প্রতি ১০ টাকার উপরে। চাষের মরসুমে লক্ষ্মীলাভের আশায় হিমঘর থেকে ডিসেম্বর মাসের শুরুতেই আলু বার করতে শুরু করেছেন চাষিরা।
চাষিদের সুবিধার্ধে এ বারও রাজ্য সরকার হিমঘরে আলু মজুতের সময়সীমা বাড়িয়েছে, দাবি কৃষি বিপণন দফতরের। তাদের দাবি, ডিসেম্বর পর্যন্ত চাষিরা হিমঘরে আলু মজুত রাখতে পারবেন। তাঁরা নিজেদের সুবিধা মতো হিমঘর থেকে আলু বের করতে পারবেন। মালদহের ১৫টি হিমঘরে আলু মজুত করে রাখা হয়। এ দিন পর্যন্ত হিমঘরগুলিতে ১২,২৯৯ টন আলু মজুত রয়েছে। মালদহের অতিরিক্ত জেলাশাসক(বিপণন) দেবাহুতি ইন্দ্র বলেন, “রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা হিমঘরগুলিতে পাঠানো হয়েছে। আলুর বিষয়ে নিয়মিত নজর রাখা হচ্ছে।” মালদহের হিমঘর সংগঠনের সভাপতি উজ্জ্বল সাহা বলেন, “রাজ্য সরকার সময়সীমা বাড়ানোয় চাষিরা সুবিধা মতো হিমঘর থেকে আলু বার করবেন। হিমঘরগুলিকে রাজ্য সরকার এক মাসের ভাড়াও মিটিয়ে দিয়েছে। চাষিদের পাশে হিমঘর রয়েছে।”
নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকেই জেলায় আলু চাষের মরসুম শুরু হয়ে যায়। কৃষি দফতরের দাবি, জেলায় সাড়ে আট হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়। গত বছর জেলায় পৌনে চার লক্ষ টন আলু উৎপাদন হয়েছিল। এ বারও প্রায় ৪০ শতাংশ জমিতে আলুর বীজ বপন হয়েছে। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত আলু চাষের সময়। পুরাতন মালদহ, গাজল, সামসির মতো ব্লকে হিমঘর থেকে আলু বার করে বাছাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। পুরাতন মালদহের আলু চাষি সজল রাজবংশী বলেন, “খুচরো বাজারের মতো এ বার পাইকারি বাজারেও আলুর দাম রয়েছে। চাষের জন্য হাতে নগদ টাকাও প্রয়োজন। নতুন আলু বাজারে নামলে, পুরোনো আলুর দাম মিলবে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy