Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Balurghat Incident

‘কর্মবিরতি নয়, গাফিলতিই মৃত্যুর কারণ’! বালুরঘাটে মৃত শিশুর পরিবার নিতে চায় না সরকারি ক্ষতিপূরণ

ডাক্তারদের কর্মবিরতির জন্য নয়। এক চিকিৎসকের গাফিলতিতেই তাদের বাড়ির ছেলের মৃত্যু হয়েছে। এমনই দাবি করল বালুরঘাটে পথদুর্ঘটনায় মৃত শিশুর পরিবার। সরকারি ক্ষতিপূরণ নিতেও রাজি নয় তারা।

শিবম শর্মা।

শিবম শর্মা। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
বালুরঘাট শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:৪৯
Share: Save:

জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির জন্য নয়। এক চিকিৎসকের গাফিলতির কারণেই তাদের বাড়ির ছেলের মৃত্যু হয়েছে। এমনই দাবি করল বালুরঘাটে পথদুর্ঘটনায় মৃত শিশুর পরিবার। এই বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে সরকারের দু’লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ নিতেও অস্বীকার করেছেন পরিবারের সদস্যেরা।

গত ৯ অগস্ট আরজি কর-কাণ্ডে বিচার চেয়ে কর্মবিরতি শুরু করেছিলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। আর তার তিন দিন পরে ১২ অগস্ট পথদুর্ঘটনায় আহত হয়ে পরে বালুরঘাট হাসপাতালে মারা যায় তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়া শিবম শর্মা। পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালে ভর্তি করানোর কয়েক ঘণ্টা পরেও সেখানে কোনও চিকিৎসক আসেননি। কার্যত বিনা চিকিৎসায় ওই শিশুর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ তোলা হয়।

গত ৯ অগস্ট আরজি কর-কাণ্ডে বিচার চেয়ে কর্মবিরতি শুরু করেছিলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। আর তার তিন দিন পরে ১২ অগস্ট পথদুর্ঘটনায় আহত হয়ে পরে বালুরঘাট হাসপাতালে মারা যান তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়া শিবম শর্মা। পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালে ভর্তি করানোর কয়েক ঘণ্টা পরেও সেখানে কোনও চিকিৎসক আসেননি। কার্যত বিনা চিকিৎসায় ওই শিশুর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ তোলা হয়।

সম্প্রতি রাজ্য সরকারের তরফে দাবি করা হয়, জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির ফলে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত বিনা চিকিৎসায় ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, ওই ২৯ জনের পরিবারকে দু’লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এই ২৯ জনের তালিকায় ছিল শিবমের নামও। তৃণমূলের সমাজমাধ্যমের পাতাতেও বালুরঘাটের ঘটনা নিয়ে পোস্ট করা হয়েছিল। শিবমের পরিবারের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, তাদের বক্তব্যকে ভুল ভাবে ব্যাখ্যা করে হয়েছে।

পরিবারের দাবি, জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি শুরু হওয়ার আগেই শিবমের মৃত্যু হয়েছে। তাই আরজি করের ঘটনা বা জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের সঙ্গে শিবমের মৃত্যুর কোনও সম্পর্ক নেই। তাদের আরও দাবি, চিকিৎসক দেরিতে আসার কারণেই ওই শিশুর মৃত্যু হয়েছিল। তাই পরিবার সরকারি ক্ষতিপূরণের টাকা নয়, বিচারের দাবি তুলেছে।

এই প্রসঙ্গে মৃত শিবমের দিদি রিঙ্কি শর্মা বলেন, “দক্ষিণ দিনাজপুরে মেডিক্যাল কলেজ নেই। জুনিয়র ডাক্তারও নেই। তাই তাঁদের আন্দোলনও এখানে নেই। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের জেরে আমার ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে বলে যে প্রচার করা হচ্ছে, তা মিথ্যা। তাই আমরা টাকা চাই না, আমরা বিচার চাই। চিকিৎসকের শাস্তি চাই।” মৃত শিশুর পিসতুতো দাদা পবিত্র সূত্রধর বলেন, “ঘটনার দিন আমার ভাইকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর কয়েক ঘণ্টা পরে চিকিৎসক আসেন। চিকিৎসায় দেরির কারণেই আমার ভাইয়ের মৃত্যু হয়। তার পর থেকেই অভিযুক্ত চিকিৎসককে আড়াল করার চেষ্টা চলছে। থানা প্রথমে আমাদের এফআইআর পর্যন্ত নেয়নি।”

চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে শিবমের আত্মীয়স্বজন অভিযুক্ত চিকিৎসকের শাস্তির দাবিতে হাসপাতালে ভাঙচুর করেন। তাঁরা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন হাসপাতালের সুপার এবং জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে। সেই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কমিটিও তৈরি করে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। কিন্তু ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা জানানো হয়নি বলে দাবি পরিবারের।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy