ছবি: সংগৃহীত
ইংরেজবাজারের ভগবানপুর গ্রামে শনিবার সকালে মৃত আইনুল খানের বাড়িতে পুলিশ যাওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। আইনুলের দুই ছেলেকে পুলিশ নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। পরিবার ও গ্রামের লোকজন বাধা দিলে পুলিশ ফিরে আসে।
শুক্রবার বিকেলে আইনুলের বাড়িতে তৃণমূলের মালদহ জেলা সভাপতি মৌসম নুর-সহ জেলা নেতৃত্ব ও জেলা বাম প্রতিনিধিরা গিয়েছিলেন। গ্রামবাসীদের দাবি, পুলিশ গ্রামে ঢুকে ধরপাকড় করবে না বলে দু’দলের নেতৃত্ব আশ্বাস দিয়েছিলেন। তার পরেও পুলিশের এই সক্রিয়তায় ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়েছে ভগবানপুর গ্রামে। এ দিকে, এ দিন বিকেলে মিলকি-কাণ্ড নিয়ে পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করেন মৌসম ও তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। দলের বক্তব্য, নিরীহদের ধরপাকড় না করে মিলকি ফাঁড়ি পোড়ানো ও পুলিশকর্মীদের উপর হামলার ঘটনায় জড়িত মূল অভিযুক্তদের যেন পুলিশ গ্রেফতার করে। এলাকায় শান্তি ফেরাতে পুলিশের পক্ষ থেকে ভগবানপুর গ্রামে একটি শান্তি বৈঠক ডাকারও আর্জি জানায় তারা। পুলিশ অবশ্য মৃত আইনুলের দুই ছেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টার অভিযোগ মানেনি।
নিয়ামতপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকার জুয়ার ঠেক থেকে গ্রেফতার হওয়া ভগবানপুরের আইনুলের মৃত্যু ঘিরে রবিবার লক্ষ্মীপুজোর রাতে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে মিলকি পুলিশ ফাঁড়ি ও হাসপাতাল চত্বর। গ্রেফতারের সময় ও পুলিশ লকআপে মারধরে আইনুলের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে উত্তেজিত জনতা মিলকি ফাঁড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। দু’টি পুলিশের গাড়ি ও ব্যারাক ভাঙচুর করা হয়। পুলিশ রাতে অভিযান চালিয়ে ১৫ জনকে গ্রেফতার করে। এ দিকে, ধরপাকড়ের নামে পুলিশ গ্রামে তাণ্ডব চালায় বলে অভিযোগ। শুক্রবার বিকেলে আইনুলের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন মৌসম। সেখানে একটি সভাও করেন। গ্রামবাসীদের দাবি, তৃণমূল নেতৃত্ব সভায় জানিয়েছিলেন, এলাকায় পুলিশি ধরপাকড় আর হবে না। কিন্তু এ দিন সকালে পুলিশ আইনুলের বাড়ি যায়। তাঁর স্ত্রী সলেনা বিবির অভিযোগ, পুলিশ তাঁর দুই ছেলেকে থানায় তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তাঁর দাবি, স্বামী যে দিন মারা যান তখন বড়ছেলে আমির হিমাচলপ্রদেশ ও আরেক ছেলে আকিবুল মহারাষ্ট্রে কর্মসূত্রে ছিল। বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে তাঁরা বাড়িতে আসেন দু’দিন পর। অথচ এ দিন পুলিশ দুই ছেলেকেই থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। গ্রামবাসীরা বাধা দিলে পুলিশ চলে যায়।
আমিরের অভিযোগ, সকালে পুলিশ তাঁকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। দাদাকেও নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু গ্রামের মানুষ চলে আসায় পুলিশ ফিরে যায়। পরিবারের অভিযোগ, এর পিছনে পুলিশের দুরভিসন্ধি রয়েছে। পুলিশ সুপার অলক রাজোরিয়া অবশ্য বলেন, ‘‘মিলকি ফাঁড়ি পোড়ানো ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ওই পরিবারের কয়েকজনের জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। সেই ফুটেজ আমাদের কাছে রয়েছে। সেজন্যই পুলিশকর্মীরা ওই বাড়িতে দিন গিয়েছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy