Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Laxmi Puja 2023

লক্ষ্মী-আরাধনায় পকেটে টান গৃহস্থের

ক্রেতাদের একাংশ জানান, কয়েক দিন আগেই আপেল ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল। সেটাই বৃহস্পতিবার ১২০-১৩০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হয়।

লক্ষ্মী পুজোর আগে প্রতিমা বিক্রি হচ্ছে ময়নাগুড়িতে।

লক্ষ্মী পুজোর আগে প্রতিমা বিক্রি হচ্ছে ময়নাগুড়িতে। ছবি: দীপঙ্কর ঘটক।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২৩ ০৭:৪৯
Share: Save:

লক্ষ্মীপুজোর মুখে ফলের দর চড়ল কোচবিহারে। শহরের ভবানীগঞ্জ বাজার থেকে নতুন বাজার, দেশবন্ধু মার্কেট, রেলগেট বাজার সর্বত্রই ছিল প্রায় এক ছবি। ক্রেতাদের একাংশের অভিযোগ, আপেল থেকে ন্যাসপাতি সব ফলেরই দাম গত কয়েক দিনের তুলনায় গড়ে অন্তত ২০-৩০ শতাংশ বেড়েছে। পদ্মফুল, পদ্মপাতা, ধানের শিষের মতো পুজোর উপকরণও বিকোয় চড়া দামে। প্রতিমার দামও বেড়েছে। সব মিলিয়ে লক্ষ্মীর আরাধনাতেও পকেটে টান গৃহস্থদের অনেকেরই। বিক্রেতাদের দাবি, পাইকারি বাজারে দাম বেড়েছে সব কিছুর। খুচরো বাজারে সেই প্রভাব পড়েছে। চাহিদার তুলনায় যোগান কম হওয়াকেই মূল্যবৃদ্ধির জন্য দায়ী করছেন তাঁরা। আলিপুরদুয়ারের ফল বাজারও ছিল অন্য দিনের চেয়ে চড়া।

ক্রেতাদের একাংশ জানান, কয়েক দিন আগেই আপেল ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল। সেটাই বৃহস্পতিবার ১২০-১৩০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হয়। তরমুজ ৫০ টাকা কেজি, মুসম্বি ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় অনেক দোকানেই। বেদানাও ছিল ২৫০ টাকা কেজি। নারকেল এক-একটি ৪০-৫০ টাকা। ভবানীগঞ্জ বাজারের ফল বিক্রেতা সুনীত পাল বলেন, “কিছু কিছু ফলের দাম বেড়েছে ঠিকই। আসলে পাইকারি বাজারে যেমন দাম, সেই মতোই খুচরো বাজারে দাম ওঠা-নামা করে।” লক্ষ্মীপুজোর বাজার করতে এসে যে ফারাকটা ভালই বুঝতে পারছেন কোচবিহারের বাসিন্দা
জয়ন্ত রায়। তিনি বলেন, ‘‘দু’দিন আগেও পাঁচটা কলা ২০ টাকায় কিনেছি। আজ চারটে কলা ২০ টাকায় কিনলাম।’’

পদ্মফুল, পদ্মপাতা, ধানের শিষের মতো পুজোর উপকরণ কিনতেও পকেটে টান পড়ছে ক্রেতাদের অনেকের। এ দিন পদ্মফুল প্রতিটি ২৫-৩০ টাকায় বিক্রি হয়। পদ্মকুঁড়ি বিক্রি হয় ২০ টাকায়, পদ্মপাতা প্রতিটি ১০ টাকায় বিক্রি হয়। ধানের শিষও একটি বিক্রি হয় ১০ টাকায়। ফুল ব্যবসায়ী নীরেন দেব বলেন, “স্থানীয় পদ্ম কম। বাইরের পদ্ম আনতে পরিবহণ খরচ হয়েছে। সে জন্যই পদ্মফুলের দাম বেড়েছে।”

কোচবিহারের মতোই আলিপুরদুয়ারের বাজারেও ফলের দাম ছিল কিছুটা চড়া। আলিপুরদুয়ার বৌবাজারের ফল ব্যবসায়ী বিপ্লব পাল বলেন, “চাহিদার তুলনায় জোগান কম। পাইকারি বাজারেও দাম বেড়েছে ফুল-ফল সব কিছুর। ফলে, খুচরো বাজারেও আমাদের দামও বেশি নিতে হচ্ছে। এতে ক্রেতাদের অনেকেই কম পরিমাণে কেনাকাটা করছেন।”

অন্য বিষয়গুলি:

Cooch Behar Alipurduar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy