বাগডোগরা বিমান বন্দর।
ডিসেম্বর মাসে বড়দিনের আগেই বাগডোগরা বিমানবন্দরের নতুন সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণের কাজ ভূমিপুজো দিয়ে শুরু হতে চলেছে। বুধবার ভাইফোঁটার দিন, ১৫ নভেম্বর ছিল প্রায় এক হাজার কোটি টাকার কাজের টেন্ডার জমার শেষ দিন। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, দেশের অন্যতম তিনটি বড় সংস্থা কাজে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আজ, বৃহস্পতিবার টেন্ডার খোলার পর কতগুলি সংস্থা আবেদন করেছে তা স্পষ্ট হবে। তার পরে, দু’সপ্তাহের কিছু বেশি সময় টেন্ডারে সর্বনিম্ন দর রাখার সংস্থার পরিকাঠামো, কারিগরি ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা যাচাই সংক্রান্ত নথিপত্র পরীক্ষা হবে। শেষে, দিল্লি ও কলকাতার অনুমোদনে সংস্থা নিয়োগ করে ডিসেম্বরই ভূমিপুজো করে কাজ শুরু হয়ে যাবে।
বাগডোগরা বিমানবন্দরের পরামর্শদাতা কমিটির চেয়ারম্যান তথা দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা বলেন, ‘‘বুধবারই টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। কিছু দিনের মধ্যে কারা কাজ করবে তা স্পষ্ট হয়ে যাবে। ডিসেম্বরে ভূমি পুজো হচ্ছে। দিনক্ষণ দ্রুত ঠিক করা হবে। নতুন বছর থেকে পুরোদস্তুর কাজ চলবে।’’ সাংসদ জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এই অঞ্চলেক গুরুত্ব বুঝেই বিপুল পরিমাণ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। দুই থেকে আড়াই বছরের মধ্যে প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ করা হবে।
বিমানবন্দর সূত্রের খবর, গত সেপ্টেম্বরে ১০৪ একরের মতো জমি অধিগ্রহণ এবং সমীক্ষার করে প্রথম পর্যায়ের ৯৫০.৪৫ কোটি টাকার নতুন টার্মিনাল ভবনের পরিকাঠামো উন্নয়নের টেন্ডার করা হয়েছে। প্রায় এক লক্ষ বর্গমিটারের নতুন টার্মিনাল ভবন এবং আধুনিক পরিকাঠামো তৈরি হবে। ২০২২ সালে এপ্রিল মাসে ‘এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া’ প্রথম বাগডোগরার নতুন বিমানবন্দরের নকশা এবং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জন্য দেশের তো বটেই, এশিয়ার নামকরা একটি সংস্থাকে পরামর্শদাতা হিসাবে নিয়োগ করা হয়। ডিসেম্বরে ভূমিপুজোর পরে, ২০২৪ সালের গোড়ায় কাজ শুরু করে তা ২০২৬ সালের পুজোর আগে শেষ হওয়ার কথা। কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রক বাগডোগরার জন্য ১,৮৮৪ কোটি টাকা বরাদ্দের ঘোষণা করেছে। এই টেন্ডারে প্রথম পর্যায়ে ৯৫০.৪৫ কোটি টাকার বরাদ্দের টেন্ডার হয়েছে।
করোনার জেরে দুই বছর যাত্রীসংখ্যায় কিছুটা কমতি লক্ষ্য করা গেলেও ২০২৩ সালের মার্চ মাসে, গত এক বছরে বাগডোগরার যাত্রীসংখ্যা সাড়ে ২৫ লক্ষ ছাড়িয়েছে। আগামী মার্চে তা ৩০ লক্ষের কাছাকাছি আবার আসতে পারে। ২০১৯ সালে প্রথম বার বাগডোগরার যাত্রীসংখ্যা বছরে ৩০ লক্ষ ছাড়ায়। বর্তমান বিমানবন্দরের টার্মিনালের আয়তন সাড়ে আট হাজার বর্গমিটারের মতো। যাতে বছরে সাড়ে সাত লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ যাত্রী ধারণ করা যায়। সকাল থেকে বিকাল অবধি বিমানবন্দর ভিড়ে ঠাসা থাকে। অনেকেই দাঁড়ানো বা বসার ঠিকঠাক জায়গা পান না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy