তল্লাশি: সেবকে তিস্তায় চলছে নিখোঁজদের সন্ধানে অভিযান। নিজস্ব চিত্র
আট দিন হয়ে গেল এই বুধবারে। তিস্তায় নিখোঁজদের সন্ধানে এ দিনও পুরোদমে তল্লাশি অভিযান শুরু করা যায়নি। সেনাবাহিনী অনুসন্ধানের দায়িত্ব নেওয়ার পরে ৪৮ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে ঘটনাস্থল সমীক্ষা এবং রিপোর্ট পাঠাতে। এ দিন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল (এনডিআরএফ) এবং নৌসেনার ডুবুরিরা ফের এলাকায় সমীক্ষা করেন। দুপুরে শিলিগুড়িতে দার্জিলিঙের জেলাশাসকের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন নৌসেনার ডুবুরিরা। বিশাখাপত্তমন থেকে নতুন করে লোকবল এবং যন্ত্রপাতি এনে উদ্ধার শুরু হবে কিনা, তা ঠিক হয়নি বুধবার রাত পর্যন্ত। এর মধ্যে উদ্ধারকাজ দ্রুত শুরু করতে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের কাছে আবেদন করেছে নিখোঁজদের পরিবার। এ দিনও এলাকা ঘুরে দেখেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব এবং দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিস্তার প্রতিনিধি তথা বিজেপির দার্জিলিং জেলা সভাপতি অভিজিৎ রায়চৌধুরী।
গত বুধবার গাড়িটি পড়ে গিয়েছিল খরস্রোতা িতস্তায়। এই বুধবার পর্যন্ত গজলডোবায় আমন গর্গ নামে এক পর্যটকের দেহ মেলা ছাড়া উদ্ধারে কোনও অগ্রগতি নেই, অভিযোগ পরিজনদের। রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে তাঁরা রোজ আসছেন, দাঁড়িয়ে থাকছেন করোনেশন ব্রিজের কাছে। নিখোঁজ পর্যটক গোপাল নারওয়ানির ভাই নীতীন বলেন, ‘‘আর কত দিন এ ভাবে অপেক্ষা করতে হবে, জানি না। বাধ্য হয়েই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে চিঠি দিয়েছি।’’ রাজু বিস্তার মাধ্যমে এ দিনই ওই চিঠিতে দ্রুত তল্লাশি শুরু করার আবেদন জানানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে এদিনও গিয়েছিলেন গৌতম দেব। তিনি বলেন, ‘‘তল্লাশি চালানো হচ্ছে। নৌসেনার বিশেষজ্ঞরাই সমীক্ষা করে ঠিক করবেন, তাঁরা কবে উদ্ধার কাজ শুরু করতে পারবেন।’’
করোনেশন ব্রিজের কাছেই গাড়িটি রয়েছে বলে দাবি করে ছয় ডুবুরি নিয়ে সেটি উদ্ধারের চেষ্টা করছিল এনডিআরএফ। সোমবার তাঁরা জানান, বিশেষ যন্ত্রপাতি এবং আরও অভিজ্ঞ ডুবুরি প্রয়োজন। মঙ্গলবার বিশাখাপত্তনম থেকে দুই প্রশিক্ষক ডুবুরি ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন। পরপর দু’দিন তাঁরা এলাকার সমীক্ষা চালান। দার্জিলিঙের জেলাশাসক দীপাপ প্রিয়া পি বলেন, ‘‘আমরাও চাইছি, দ্রুত উদ্ধার শুরু হোক। তা কী ভাবে হবে, সেটা নৌসেনার ডুবুরিরা এ দিন জানাননি। জলের স্রোতের জন্য সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওঁরা। আশা করছি একটা ইতিবাচক কিছু হবে।’’ সূত্রের খবর, সারাদিনের সমীক্ষার রিপোর্ট বুধবার রাতেই বিশাখাপত্তনমে পাঠিয়েছেন নৌসেনার ডুবুরিরা। সেখান থেকে উদ্ধার কাজ শুরু নিয়ে নির্দেশ আসবে। আর আসবে উদ্ধারের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী। বিশেষ বিমানে এই সব যন্ত্রপাতি উড়িয়ে আনা হবে বিশাখাপত্তনম থেকে। এ দিন রাত পর্যন্ত তেমন কোনও আশ্বাসই পারেননি কেউই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy