মালদহ ভুতনিতে গাছের গুড়ি ও বালির বস্তা দিয়ে অস্থায়ী বাধ তৈরির কাজ চলছে। ছবি: উত্তম বিশ্বাস।
কোথাও জলের স্রোতে বাঁধ ভেঙেছে, কোথাও জমা জল বার করতে বাঁধ কেটেছেন গ্রামবাসীরাই। শুক্রবার প্লাবিত মালদহের ভূতনিতে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের হদিস পেতে ‘ড্রোন’ উড়িয়ে নজরদারি চালাল জেলা সেচ দফতর। পাশাপাশি, বৃহস্পতিবার রাত থেকে রতুয়ার মহানন্দাটোলা পঞ্চায়েতের ক্লান্তটোলায় নতুন করে ফুলহারের ভাঙনে প্রায় ৫০ মিটার অংশ তলিয়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন নদীপারের বাসিন্দারা।
শুক্রবার দুপুরে সেচ দফতরের প্রতিনিধিরা এলাকায় গেলে ভাঙন রোধে অস্থায়ী কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ উগরে দেন বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, মাটির বস্তা ফেলে অস্থায়ী কাজের নামে কোটি কোটি টাকা খরচ করে ভাঙন ঠেকানো যায় না। সেচ দফতরের আধিকারিকদের কাছে বোল্ডার দিয়ে কাজের দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসী রমেশ মণ্ডল বলেন, “ভাঙন রোধের কাজ সময় মতো না হওয়ায় এ বার ভূতনি জলে ভেসেছে। সেই ছবির পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সে জন্য সেচ দফতরকে এখন থেকেই ভাঙন কবলিত এলাকায় সক্রিয় ভাবে কাজ করতে হবে।”
ভাঙন রোধে স্থায়ী কাজের জন্য রিপোর্ট তৈরির কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন সেচ দফতরের কর্তারা। তাঁদের দাবি, ভূতনির বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। ভূতনি জুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের সমীক্ষা করতে ‘ড্রোন’ ওড়়ানো হচ্ছে। ক্লান্তটোলাতেও পরিদর্শন করা হয়েছে। এখন গাছের গুঁড়ি, মাটির বস্তা দিয়ে অস্থায়ী ভাবে বাঁধ তৈরি করা হচ্ছে। স্থায়ী কাজের জন্য নতুন প্রকল্প তৈরি করে রাজ্যে পাঠানো হবে। টাকা বরাদ্দ হলে স্থায়ী ভাবে কাজ শুরু হবে। রাজ্যের সেচ দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, “ভাঙন রোধে রাজ্য সাধ্য মতো চেষ্টা করছে।”
আজ, শনিবার ভূতনি গিয়ে গঙ্গার জলে ডুবে মৃত এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে আর্থিক সাহায্য করার কথা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর। বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির পরে কেন বিরোধী দলনেতার সফর? বিজেপির দক্ষিণ মালদহের সভাপতি পার্থসারথি ঘোষ বলেন, “জেলা বিজেপির তরফে ভূতনিতে গিয়ে ত্রাণ বিলি করা হয়েছে। এ বার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা গিয়ে ভূতনিবাসীর পাশে দাঁড়াবেন।”
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy