Advertisement
২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
TMC

বাড়ি পেতে একটা মিষ্টিও নয়, বার্তা

পুরপ্রধান, উপ-পুরপ্রধানদের স্বচ্ছতার বার্তা দেওয়াকে ‘পুরভোটের চমক’ বলে কটাক্ষ করেছেন বিরোধী দলের কাউন্সিলরেরা।

ফাইল চিত্র

ফাইল চিত্র

অভিজিৎ সাহা
ইংরেজবাজার শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২০ ০৩:৩৭
Share: Save:

‘সবার জন্য বাড়ি’ প্রকল্পে ঘর বিলিতে প্রায়ই ওঠে ‘কাটমানি’ নেওয়ার অভিযোগ। কিন্তু বাড়ি পেতে কাউকে একটি মিষ্টিও খাওয়াতে হবে না বলে স্পষ্ট জানালেন ইংরেজবাজারের উপ-পুরপ্রধান দুলাল সরকার। সোমবার দুপুরে মালদহের সানাউল্লাহ মঞ্চে উপভোক্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন ইংরেজবাজার পুরসভা কর্তৃপক্ষ। সেই বৈঠকেই স্বচ্ছ ভাবে ঘর বিলির বার্তা দেন দুলাল। তাঁর সুরে সুর মিলিয়েছেন পুরপ্রধান নীহাররঞ্জন ঘোষও।

পুরপ্রধান, উপ-পুরপ্রধানদের স্বচ্ছতার বার্তা দেওয়াকে ‘পুরভোটের চমক’ বলে কটাক্ষ করেছেন বিরোধী দলের কাউন্সিলরেরা। ইংরেজবাজার পুরসভার সিপিএমের কাউন্সিলর দুলালনন্দন চাকি বলেন, ‘‘পুরসভার ঘর বিলিতে স্বজনপোষণ যেমন রয়েছে, তেমনই টাকার বিনিময়ে ঘর দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। যা নিয়ে মানুষ ক্ষুব্ধ। তাই ভোটের আগে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি দেখাতেই পুর কর্তৃপক্ষের মুখে এমন কথা শোনা যাচ্ছে।’’

বিজেপি কাউন্সিলর রাজীব চম্পটী বলেন, ‘‘সরকারি প্রকল্পে ঘর নিয়ে মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ রয়েছে। তা সামাল দিতে পুরপ্রধান, উপ-পুরপ্রধান স্বচ্ছতার কথা বলছেন।’’

যদিও বিরোধীদের কথাকে আমল দিতে নারাজ পুরসভা কর্তৃপক্ষ। দুলাল বলেন, ‘‘ঘর বিলিতে কেউ টাকা নিয়েছেন বলে আমাদের কাছে অভিযোগ জানালে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ আসেনি।’’ তাঁর কথায়, ‘‘অনেক উপভোক্তাকেই দেখেছি সরকারি প্রকল্পে ঘর পেলে কাউন্সিলরদের বাড়িতে মিষ্টি নিয়ে হাজির হয়ে যান। আমার কাছেও অনেকে এসেছেন। গরিব মানুষেরা নিজেদের প্রাপ্য পাচ্ছেন। সেই বিষয়টিই সকলের সামনে তুলে ধরা হয়েছে।’’

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘সবার জন্য বাড়ি’ প্রকল্পে ইংরেজবাজার পুরসভায় দুই পর্যায়ে প্রায় ২ হাজার ৬০০ উপভোক্তাকে ঘর দেওয়া হয়েছে। তৃতীয় পর্যায়ে ইংরেজবাজার শহরের ২৯টি ওয়ার্ডে আরও ৮১৯ জনকে সরকারি প্রকল্পে ঘর দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ দিন মালদহের সানাউল্লাহ মঞ্চে সমস্ত উপভোক্তাদের নিয়ে দু’দফায় বৈঠক করেন পুরসভা কর্তৃপক্ষ। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট ১৬ হাজার উপভোক্তাকে ঘর দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পে উপভোক্তাদের ৩ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। আর উপভোক্তাদের নিজের অ্যাকাউন্টে ২৫ টাকা করে জমা করতে হবে। তিন ধাপে উপভোক্তাকে ঘরের টাকা দেওয়া হবে।

ওই সরকারি ঘর নিয়ে নানা ক্ষোভ রয়েছে উপভোক্তাদের। তাঁদের একাংশের অভিযোগ, সরকারি প্রকল্পে ঘরের টাকা সময়মতো পাওয়া যায় না। এ ছাড়া ঘর দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেকে ‘কাটমানি’ নেন। ঘর বিলির ক্ষেত্রে স্বজনপোষনেরও অভিযোগ রয়েছে।

নীহার বলেন, ‘‘নিয়ম মেনেই ঘর বিলি করা হয়। তার পরেও অনিয়মের অভিযোগ পেলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

TMC Maldah
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy