প্রতীকী ছবি।
প্রতিমার আগমন থেকে বিসর্জন— হুসেন না হলে চলে না জলপাইগুড়ি শহরের কদমতলার মজুমদার বাড়ির। পুজোর সঙ্গে যুক্ত থেকে এখন হুসেন ভাল ভাবেই জেনে গিয়েছেন, কলা বউ সাজানো, পুজোর ফুল-বেলপাতা নিয়ে আসা, মহাস্নানের উপকরণ সংগ্রহের কাজ কী করে করতে হয়। তাঁকে এখন সাহায্য করেন বৌদি সফেদা বিবি। সম্প্রীতি আর উৎসবের আবহে এই ভাবেই ১৯ বছর ধরে চলে আসছে এই পরিবারের পুজো।
১৯ বছর আগে চিকিৎসকদের সংগঠন আইএমএ-র সদস্যদের স্ত্রীরা 'লেডিস ক্লাব' গড়ে দুর্গাপুজো করবেন বলে ঠিক করেছিলেন। পুজোর সব প্রস্তুতিও সারা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ঠিকমতো জায়গা না মেলায় ডাক্তার অতীন মজুমদারের বাড়িতেই পুজোর সিদ্ধান্ত নেন উদ্যোক্তারা। পরের বছর অনেকেই বদলি হয়ে যান। পরিবারের সদস্যরা ঠিক করেন, তাঁরাই ব্যক্তিগত ভাবে পুজো করবেন।
পরিবারের পক্ষে রীতা মজুমদার বলেন, ‘‘আমার শাশুড়ি মা সবিতা মজুমদার আর আমাদের মধ্যে নেই। তবু তাঁর নির্দেশ মেনেই আজও পুজো চলছে। পুজোর সব দিক আমাকেই দেখভাল করতে হয়। পুজোয় আমার প্রধান সহকারী নুর হুসেন ও সফেদা বিবি।’’ পরিবার সূত্রের খবর, হুসেন ও সফেদা বিবির পুজোর কাজে সহায়তা করা নিয়ে বাধাও এসেছে অনেক। কিন্তু অনড় ছিলেন পরিবারের লোকেরা। হুসেনের কথায়, ‘‘যেই পীর, সেই হন দেব নারায়ণ। ঈশ্বর আর আল্লার মধ্যে আমার কাছে কোনও তফাত নেই। পরিবারের সবাইকে নিয়ে এই বাড়িতে পুজোর ক'দিন বেশ আনন্দেই কাটাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy