শুনসান: আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকায় শান্ত মহদিপুরের আন্তর্জাতিক সীমান্ত কেন্দ্র। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র
কেন্দ্রীয় শুল্ক দফতরের সঙ্গে রফতানিকারকদের টানাপড়েনে আমদানি-রফতানি বন্ধ হয়ে গেল মালদহের মহদিপুরে। মঙ্গলবার, কেন্দ্রীয় শুল্ক দফতরের বিরুদ্ধে হাতে প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন নিয়ে বিক্ষোভ দেখান মহদিপুরের রফতানিকারকেরা। শুল্ক দফতরের জেলার কর্তার বিরুদ্ধে পুলিশ, প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা।
ব্যবসায়ীদের দাবি, কেন্দ্রীয় শুল্ক দফতর আমদানি-রফতানিতে তল্লাশির নামে পরিবহণ কর্মীদের ‘হয়রান’ করছেন। কেন্দ্রীয় শুল্ক দফতরের বিরুদ্ধে টাকা চাওয়ারও অভিযোগ করেছেন রফতানিকারকদের একাংশ। যদিও টাকা চাওয়া এবং রফতানিকারকদের হয়রানির অভিযোগ মানতে নারাজ কেন্দ্রীয় শুল্ক দফতর কর্তৃপক্ষ।, প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করতে চাননি কেন্দ্রীয় শুল্ক দফতরের মালদহের সুপার মৃদুল নস্কর। তিনি বলেন, “আমি কোনও মন্তব্য করব না।”
মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া বলেন, “দু’পক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমদানি-রফতানিতে কোনও অনিয়ম মানা হবে না।”
প্রশাসনের দাবি, মহদিপুর আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কেন্দ্রে আমদানি-রফতানির গতি আনতে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ‘সুবিধা অ্যাপ’ চালু করা হয়েছে। অ্যাপের মাধ্যমে রফতানিকারকেরা ‘স্লট বুক’ করতে পারবেন। এক দিনে এক জন আমদানি-রফতানিকারক দশটি করে গাড়ির জন্য ‘স্লট বুক’ করতে পারবেন। এর পরেই, পণ্য দু’দেশের মধ্যে পারাপার হবে। নয়া পদ্ধতিতে পণ্য পরিষেবা চালু হতেই একাধিক অনিয়মের অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে।
শুল্ক দফতরের দাবি, ‘প্রভাবশালী’ রফতানিকারকদের একাংশ ‘ভুয়ো’ অ্যাকাউন্ট খুলে ‘সুবিধা অ্যাপ’-এ একাধিক ‘স্লট বুক’ করে পণ্য পারাপার করছেন। ফলে, সাধারণ রফতানিকারকেরা তুলনায় কম ‘স্লট’ পাচ্ছেন। এ ছাড়া, পর্যাপ্ত নথি ছাড়াই প্রভাবশালী রফতানিকারকেরা পণ্য পারাপারের চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ। সে চেষ্টা রুখে দিতেই শুল্ক দফতরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হচ্ছে, দাবি সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্তাদের।
মহদিপুরের রফতানিকারকদের সংগঠনে সভাপতি তাপস কুণ্ডু বলেন, “আমদানি-রফতানি এখন অনলাইনে হচ্ছে। নিয়ম মেনেই সব কাজ হয়। তার পরেও শুল্ক দফতরের আধিকারিকেরা বেআইনি ভাবে আমাদের কাছে গাড়িপিছু ৫০০ টাকা দাবি করছেন। সে টাকা দিতে না চাওয়ায়, আমাদের হয়রান করা হচ্ছে। এরই প্রতিবাদে অনির্দিষ্ট কালের জন্য সীমান্তে রফতানি বন্ধ করা হয়েছে। প্রশাসনের কাছেও অভিযোগ জানানো হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy