মিড-ডে মিলে পেঁয়াজ নেই। নিজস্ব চিত্র
এত দিন পরিমাণ কমানোর শুধু চিন্তাভাবনা চলছিল। এ বার তা কার্যকরও করতে হচ্ছে। পেঁয়াজের ঝাঁঝ আরও বাড়ায় প্রভাব পড়ছে কোচবিহারের একাধিক স্কুলের মিড ডে মিলের মেনুতেও! কোথাও পড়ুয়াদের পাতে মিড ডে মিলে মুসুর ডালে পেঁয়াজের দেখা প্রায় মিলছে না। কোথাও আবার ডিমের ঝোলেও কমেছে পেঁয়াজের স্বাদ। একাধিক স্কুল আবার পেঁয়াজ ছাড়াই দেওয়া হচ্ছে সয়াবিনের তরকারিও। অভিভাবক, পড়ুয়াদের একাংশের এমনই অভিযোগ। একাধিক স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, মূল্যবৃদ্ধিতে নিরুপায় হয়েই রান্নায় পেঁয়াজের বরাদ্দ পরিমাণ কমাতে হচ্ছে। মেনুও বদলাচ্ছে।
একাধিক স্কুল কর্তা প্রায় এক সুরে জানান, পুজোর মরসুম থেকে কোচবিহারে পেঁয়াজের বাজার চড়ছিল। দাম বাড়তে বাড়তে ৫০ টাকা থেকে ৮০ টাকায় পৌঁছয়। তারপরেও চেষ্টা হচ্ছিল। কিন্তু ডিসেম্বরের শুরু থেকে দাম আরও চড়তে থাকে। বুধবার দাম পৌছয় খুচরো ১২০ টাকা প্রতি কেজি। বৃহস্পতিবার একাধিক বাজারে খুচরো দাম আরও বেড়েছে। তাতেই মিড ডে মিলে পেঁয়াজ বরাদ্দে কাটছাঁট করতে বাধ্য হতে হয়। কোচবিহারের দেওয়ানহাট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক জয়ন্ত পাল বলেন, “সপ্তাহে দু’দিন আলু, পেঁয়াজ দিয়ে সয়াবিনের তরকারি করা হত। দু’দিন ডিম দেওয়া হয় পড়ুয়াদের। ডিম রান্নায় পেঁয়াজ কমাতে হয়েছে। আলু, পেঁয়াজ দিয়ে সয়াবিনের বদলে বেগুন, সিম, বাঁধাকপি দিয়ে তরকারি করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার নিরামিষ মেনুর সয়াবিন তরকারি দিয়ে খাওয়ানো হয়।” তিনি জানান, মুসুর ডালেও পেঁয়াজের পরিমাণ কমাতে হয়েছে। স্বাদ বজায় রাখতে একেবারে বন্ধ করা হয়নি।
পেঁয়াজ বরাদ্দ কমানো হচ্ছে আরও নানা স্কুলে। কোচবিহার সদর গভর্নমেন্ট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মলয়কান্তি রায় বলেন, “ডিম হলে গড়ে প্রায় ২ কেজি পেঁয়াজ দরকার হয়। এখন ওই পরিমাণ অনেকটা কমিয়ে ৫০০ গ্রাম দিয়ে কাজ চালাতে হচ্ছে।” তুফানগঞ্জের বালাকুঠি হাইস্কুলের প্রধানশিক্ষক অজিত অধিকারীও বলেন, “পেঁয়াজ না কমিয়ে উপায় কী!” রান্নার দায়িত্বপ্রাপ্ত একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের বক্তব্য, মিড ডে মিলে অন্যতম আবশ্যিক আনাজের একটি পেঁয়াজ। বাজার দর প্রায় তিন-চার গুণ বেড়েছে। কিন্তু পড়ুয়াদের মাথা পিছু বরাদ্দ তো বাড়েনি। সরকারি ভাবেও সহায়ক দামে পেঁয়াজ দেওয়া হচ্ছে না। কী করব বলুন তো?’’ কোচবিহার স্কুল অভিভাবক ফোরামের সম্পাদক নেপাল মিত্র বলেন, “যে ভাবে দাম বেড়েছে তাতে স্কুল কর্তৃপক্ষ বা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কিছু করার নেই, সেটা আমরাও বুঝি। দাম নিয়ন্ত্রণ না হওয়া পর্যন্ত তাই স্কুলে পেঁয়াজ সরবরাহের জন্য সরকারি ভাবে উদ্যোগী হওয়াও দরকার।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy