ফেরা: মুম্বই থেকে শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনে ঘরে ফিরলেন পরিযায়ী শ্রমিকেরা। বৃহস্পতিবার মালদহ স্টেশনে। নিজস্ব চিত্র
ট্রেনে ভিন্ রাজ্য থেকে দক্ষিণ দিনাজপুরে দলে দলে পরিযায়ী শ্রমিকের ফেরার খবরে উদ্বিগ্ন জেলা প্রশাসন।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, জেলার প্রায় ৩০ হাজার শ্রমিক ভিন্ রাজ্যে আটকে। তাঁদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজারের কিছু বেশি শ্রমিক জেলায় ফিরেছেন। ট্রেনে আর কত জন শ্রমিক ফিরছে, তার সঠিক তথ্য জেলা প্রশাসনের কাছে নেই বলে অভিযোগ। কেন্দ্রের তরফেও কোনও পরিসংখ্যান দেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ।
বিশেষত মহারাষ্ট্র, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাড়ু ও দিল্লি— এই পাঁচ রাজ্য থেকে ট্রেনে পরিযায়ী শ্রমিকেরা জেলায় ফিরছেন বলে বুধবার প্রাথমিক ভাবে খবর পেয়ে উদ্বিগ্ন জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। বৃহস্পতিবার এ নিয়ে প্রশাসনিক স্তরে পদক্ষেপ করতে বৈঠক হয়।
অতিরিক্ত জেলাশাসক প্রণবকুমার ঘোষ জানান, জেলায় ২১টি থেকে বাড়িয়ে ৩০টি ফেসিলেটেড কোয়রান্টিন কেন্দ্র চালু হয়েছে। বেশ কিছু স্কুলকেও কোয়রান্টিন কেন্দ্রের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি সরকারি গাইডলাইন মেনে ভিন্ রাজ্য ফেরত শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে।
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ দিনাজপুরে এখনও পর্যন্ত ৭ জন করোনায় আক্রান্ত। দু’জন সুস্থ হয়ে ওঠায় তাঁদের বালুরঘাটের কোভিড হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। জেলার উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কিশলয় দত্ত জানান, লালারস পরীক্ষায় বকেয়া থাকা নমুনার পরিমাণ অনেকটা কমেছে। বুধবার পর্যন্ত মালদহ এবং শিলিগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বকেয়া করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পড়ে রয়েছে ১ হাজার ৪০০টি।
বিশেযত ওই পাঁচটি রাজ্য থেকে ট্রেনে হাজারের উপরে পরিযায়ী শ্রমিক জেলায় ঢুকবেন বলে মনে করে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা করছেন জেলা স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের একাংশ। এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘সরকারি গাইডলাইন অনুযায়ী কোন রাজ্য থেকে শ্রমিকরা ফিরছেন, সেই অনুযায়ী তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাতে হটস্পট এলাকা থেকে আসা শ্রমিকদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে ফেসিলেটেড কোয়রান্টিন কেন্দ্রে পাঠানোর কথা বলা হয়েছে।’’ তিনি আরও জানান, অন্য কয়েকটি রাজ্য থেকে ফেরা এবং রোগের লক্ষণ নেই এমন শ্রমিকদের ক্ষেত্রে লালারস পরীক্ষার কথা বলা হয়নি। তাঁদের প্রাথমিক পরীক্ষার পরে হোম কোয়রান্টিনে পাঠাতে বলা হয়েছে। তাতেই সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy