খাগড়াবাড়ি চৌপথি লাগোয়া এলাকায় হচ্ছে হেরিটেজ গেট। নিজস্ব চিত্র
রাজার শহরে ঘোড়ার গাড়ি থেকে নেমে প্রাচীন স্থাপত্য ঘুরে দেখতে দেখতে ‘হেরিটেজ ওয়াক’-এর ফাঁকে পর্যটকেরা পাবেন রাজকীয় অনুভূতির স্বাদ! যার পোশাকি নাম ‘দ্য মহারাজা এক্সপেরিয়েন্স’। কোচবিহারে পর্যটক আকর্ষণ বাড়াতে ওই পরিকল্পনা করেছে জেলা প্রশাসন। প্রাথমিক রূপরেখাও তৈরি হয়েছে। সব ঠিক থাকলে, এ বছরেই মিলতে পারে ওই সুযোগ।
প্রশাসন সূত্রে খবর, কোচবিহার শহরের শতাধিক নির্দশন হেরিটেজ তালিকায় রয়েছে। তার মধ্যে বেশ কিছু হেরিটেজ নির্দশনের সংস্কার হয়েছে। আরও কিছুর সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। বৈরাগিদিঘি, সাগরদিঘি চত্বরও হেরিটেজ প্রকল্পে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। খাগরাবাড়ি চৌপথি লাগোয়া এলাকায় ‘হেরিটেজ ওয়েলকাম গেট’ নির্মাণের কাজও এগিয়েছে। কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাদিয়ান বলেন, “ঐতিহ্যের শহরে পর্যটক আকর্ষণ বাড়ানো, এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়নের মতো নানা বিষয় মাথায় রেখে ওই পরিকল্পনা করা হয়েছে।”
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহার জুড়ে ছড়িয়ে থাকা রাজ আমলের স্থাপত্য, নির্দশন ঘোড়ার গাড়িতে ঘুরে দেখার ‘রুট-ম্যাপ’ করা হয়েছে। রাজবাড়ি, মদনমোহন মন্দির, সাগরদিঘি, লাগোয়া চত্বরের প্রাচীন ভবন ঘুরে দেখার পরে পর্যটকেরা যাবেন সাবিত্রী লজে। ওই ভবনটির সঙ্গে জড়িয়ে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাসের স্মৃতি। পুরো যাত্রাপথ ঘোড়ার গাড়িতে করে যাওয়া যাবে। নির্দিষ্ট স্থাপত্য, নির্দশনের সামনে ওই গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে ভিতরে যেতে হবে। সে সময়ে প্রশাসনের প্রশিক্ষিত ‘গাইড’ পর্যটকদের সামনে তুলে ধরবেন রাজ আমলের সেখানকার নানা ইতিকথা। যাঁরা ‘গাইড’ নিতে চাইবেন না, তাঁদের জন্য থাকছে ‘অডিয়ো-টুর’। ‘জিপিএস’-এর মাধ্যমে পর্যটক ওই যাত্রাপথে যেখানেই যাবেন, যন্ত্রের মাধ্যমে নিজের পচ্ছন্দের ভাষা নির্বাচন করে জেনে নিতে পারবেন ইতিহাসের নানা তথ্য, রাজ-কাহিনীও। ঘোড়ার গাড়িতে ওঠার আগে, আগ্রহী পর্যটকদের রাজকীয় পোশাক দেওয়া যায় কি না, তা নিয়েও চিন্তা-ভাবনা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy