পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারকে প্রকাশ্যে ভর্ৎসনা করা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধলেন রাজ্য বিজেপি-র প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার অমরনাথ কে-কে প্রকাশ্যে ভর্ৎসনা করা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধলেন রাজ্য বিজেপি-র প্রাক্তন সভাপতি তথা অধুনা কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘কমিশনারদের প্রকাশ্যে ধমক দেওয়া হচ্ছে। এটা সঠিক ব্যবহার নয়।’’ মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আমলাদের উপর জমিদারি চালানোরও অভিযোগ তোলেন দিলীপ।
শুক্রবার শিলিগুড়িতে পুরভোটের প্রচারে গিয়েছেন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ দিলীপ এবং রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ বলেন, ‘‘কমিশনাররা কেন্দ্রের ক্যাডার। কিন্তু দিদিমণি তাঁদের উপর জমিদারি চালাচ্ছেন। দলের কথা না শুনলেই তাঁদের চমকানো, ধমকানো হচ্ছে। এটা শাসকের তরফে সঠিক ব্যবহার নয়। প্রকাশ্যে উনি বলছেন, সরকারি আধিকারিকরা তাঁর ইচ্ছের বিরুদ্ধে কাজ করবেন না।’’
শাসকদলকে কটাক্ষ করে শুক্রবার সুকান্ত বলেন, ‘‘পুলিশ না থাকলে তৃণমূল নিজেদের মধ্যে মারামারি করে মরে যেত।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বিপুল ভোটে জিতেও তৃণমূলের ক্ষমতা নেই বিজেপি-র সঙ্গে লড়ার। কলকাতার তুলনায় জেলায় আমাদের শক্তি বেশি।’’
দিলীপকে পাল্টা কটাক্ষ করে দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের (সমতল) সভাপতি পাপিয়া ঘোষ বলেন, ‘‘যিনি বলেন গরুর দুধ থেকে সোনা পাওয়া যায়, তাঁর বক্তব্যকে পাগলের প্রলাপ ছাড়া কিছু বলা যায় না। আমি মনে করি দিলীপ ঘোষের বক্তব্যে আমি কেন, বাংলার ছোট বাচ্চাদেরও প্রতিক্রিয়া দেওয়া উচিত নয়।’’
বৃহস্পতিবারের প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ওই জেলায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু পুলিশ এ বিষয়ে নীরব। এসপি-র উদ্দেশে মমতা বলেন, ‘‘তোমার কি ওখানে কাজ করতে ভয় করছে? তোমাকে কি গভর্নর ফোন-টোন করেন? এটা করবে না, ওটা করবে না, সেটা করবে না…। অবশ্য সেটা উনি বললেও তুমি এখন তো আর বলবে না। তবে তোমার ও সব দেখার দরকার নেই। মনে রেখো, তুমি রাজ্য সরকারের কাজ করছ।’’
এর পর মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক মূল্যায়ন-বৈঠক নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি টুইটারে লেখেন, ‘পুরভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পরেই নির্বাচনী আচরণবিধি কার্যকর হয়ে গিয়েছে পুর এলাকাগুলিতে। তার পরও কী ভাবে সুপার এবং জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী?’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy