ছবি পিটিআই।
বিশেষ ট্রেনে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের ক্ষেত্রে এক নীতি, আর যাত্রীবাহী ট্রেনে আসা বাকিদের ক্ষেত্রে আরেক নীতি নেওয়ার অভিযোগ উঠল আলিপুরদুয়ারের স্বাস্থ্য কর্তাদের বিরুদ্ধে। স্বাস্থ্য দফতরের এই দু'মুখো নীতির জেরে জেলায় করোনার সংক্রমণ বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা কোনও কোনও মহলের।
জেলায় করোনার সংক্রমণ যাতে না ছড়ায় সেজন্য বাইরে থেকে আসা সকলকেই কোয়রান্টিন সেন্টারে রাখার সিদ্ধান্ত নেন আলিপুরদুয়ারের স্বাস্থ্য কর্তারা। সেই অনুযায়ী জেলার বিভিন্ন জায়গায় গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরেও কোয়রান্টিন সেন্টার খোলা হয়। গত রবিবার থেকে আলিপুরদুয়ারে বিভিন্ন রাজ্য থেকে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন পৌঁছতে শুরু করেছে। ওই ট্রেনগুলোতে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের সকলকেই সরকারি কোয়রান্টিন সেন্টারে পাঠানো হচ্ছিল। কিন্তু সোমবার রাতে রেড জ়োন কলকাতার শিয়ালদহ থেকে লকডাউনের পর প্রথমবার যাত্রা শুরু করা পদাতিক এক্সপ্রেসের যাত্রীদের ক্ষেত্রে কী হবে, তা নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়েছিল। যদিও মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ৩টে নাগাদ ট্রেনটি নিউ আলিপুরদুয়ার স্টেশনে পৌঁছনোর আগে পর্যন্ত স্বাস্থ্য দফতরের কোনও কোনও সূত্রে দাবি করা হচ্ছিল, যাত্রীদের সকলকেই কোয়রান্টিন সেন্টারে পাঠানো হবে। কিন্তু ট্রেন স্টেশনে পৌঁছতেই বদলে যায় চিত্র। অভিযোগ, ট্রেন থেকে নামা যাত্রীদের নাম-ঠিকানা ও যোগাযোগ নম্বর নিয়ে তাঁদের হোম কোয়রান্টিন বা নিজেদের ব্যবস্থায় হোটেল কোয়রান্টিনে যেতে বলা হয়। বলা বাহুল্য, এমন সুযোগ পেয়ে যাত্রীদের অনেকেই বাড়ির দিকে রওনা হন। অথচ, এদিনই ভিনরাজ্য থেকে আসা দুটো শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনের শ্রমিকদের সকলকে কোয়রান্টিনে পাঠানো হয়।
দু'ধরনের যাত্রীদের বিষয়ে দু'রকম নীতি নিয়ে আলিপুরদুয়ার জেলার স্বাস্থ্য কর্তাদের অনেকেই কাঠগড়ায় তুলতে শুরু করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, "কোয়রান্টিন সেন্টারে এত লোকের জায়গা নেই। সেজন্য সকলকে হোম কোয়রান্টিন বা নিজেদের উদ্যোগে হোটেল কোয়রান্টিনে থাকতে বলা হয়েছে।
এদিকে নিউ আলিপুরদুয়ার স্টেশনে নেমে নিজের পছন্দ বাছাই করার সুযোগ পেয়ে অবাক হয়ে যান পদাতিক এক্সপ্রেসের যাত্রীরাও। আলিপুরদুয়ারের বাসিন্দা প্রীতম বসু বলেন, "ভেবেছিলাম ট্রেন থেকে নামার পর আমাদের কোয়রান্টিন সেন্টারে পাঠানো হবে। কিন্তু স্টেশন থেকে বলা হল আমি বাড়ি বা হোটেলে কোয়রান্টিনে থাকতে পারি। সেজন্য আমি বাড়িই যাচ্ছি।"
আর এক যাত্রী দীপশিখা রায় বলেন, "কলকাতা থেকে এতটা যাত্রা করে এসেছি। ওঁরা কোয়রান্টিন সেন্টারে না পাঠালেও, নিজে একবার হাসপাতালে গিয়ে পরীক্ষা করিয়ে বাড়ি ফিরব।"
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy