Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Dhupguri

Dhupguri: আইন ভেঙে গাড়ি চালিয়ে ফাইন নেই, তিন বছর পুরনো ‘রাগ’ মেটানোর অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে

সিট বেল্ট না পরে গাড়ি চালানোর অভিযোগে ব্যবসায়ীকে দাঁড় করিয়ে মারমুখী ধূপগুড়ির ট্র্যাফিক ওসি। অভিযোগ, পুরনো শোধ তুলছেন!

ব্যবসায়ীর সঙ্গে তর্ক ট্র্যাফিক পুলিশ অফিসারের।

ব্যবসায়ীর সঙ্গে তর্ক ট্র্যাফিক পুলিশ অফিসারের। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ধূপগুড়ি শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০২২ ১৯:৫২
Share: Save:

ধূপগুড়ি ট্র্যাফিক মোড় সংলগ্ন এলাকায় এক গাড়ি চালকের সিট বেল্ট না থাকায় তাঁকে জরিমানার বদলে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ ট্র্যাফিক পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে। অশালীন ভাষা প্রয়োগেরও অভিযোগ উঠেছে। নান্টু পাল নামে ওই ব্যবসায়ীর অভিযোগ, তিন বছর পুরনো ঝামেলার প্রতিশোধ নিতে তাঁকে হেনস্থা করেন ধূপগুড়ি ট্র্যাফিক পুলিশের ওসি অভিজিৎ সিংহ।

শনিবার সকালে ধূপগুড়ি শহরের একটি নামি মোবাইল ফোনের দোকানের মালিক নান্টু গাড়ি চালিয়ে দোকানে আসছিলেন। সিট বেল্ট না পরে গাড়ি চালানোর অভিযোগে তাঁকে রাস্তায় আটকান ওসি ট্র্যাফিক। কিন্তু জরিনমানার বদলে তাঁকে কটু কথা বলা হয় বলে অভিযোগ। তিনি এর প্রতিবাদ করলে শুরু হয় বাক্‌বিতণ্ডা। ব্যবসায়ীর অভিযোগ, তিন বছর পুরনো একটি কথা তিনি টেনে আনেন। আর এতেই চটে যান তিনি। ব্যবসায়ীর দাবি, তিনি যদি ট্র্যাফিক আইন ভেঙে থাকেন, তবে তার জন্য আইনের মুখোমুখি হতে তিনি প্রস্তুত। কিন্তু পুরনো কথা টেনে এনে রাস্তায় তাঁকে অপমান করার এক্তিয়ার নেই পুলিশ অফিসারের বলে অভিযোগ করেন তিনি। যদিও ওই পুরনো ঘটনা কী, তা বলতে চাননি তিনি।

ওই ঘটনার একটি ভিডিয়োও রেকর্ড হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে ট্র্যাফিক ওসি রীতিমতো তেড়ে যান ব্যবসায়ীর দিকে। তাঁকে বলতে শোনা যায় ‘‘মারবি আমাকে মারবি?’’

বিতর্ককে অবশ্য সঙ্গী করে চলেন ওই ট্র্যাফিক ওসি। এর আগে থানার ভিতরে এক হোম গার্ডের সঙ্গে মারপিটে জড়ানোর অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। নিজের অফিসে স্যান্ডো গেঞ্জি পরে উদ্দাম নাচ করেও বিতর্কে জড়িয়েছিলেন।

এদিনকার ঘটনা নিয়ে অভিজিৎ সিনাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে তিন বছরের পুরনো বচসা বা মনোমালিন্য থেকে এই বিবাদ কি না সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

আরও পড়ুন:

অন্য বিষয়গুলি:

Dhupguri police Traffic Fine
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE