Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪
Lynching

উদ্ধার না করে মোবাইলে ছবি, শাস্তি পুলিশের

ঘটনাটি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। পুলিশের ভুমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা 
ইংরেজবাজার শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২১ ০৫:৫৭
Share: Save:

গাড়ির মধ্যে বসে রয়েছেন এক ব্যক্তি। তাঁকে কিল, চড়, ঘুসি এলোপাথাড়ি মারছে একদল যুবক। ওই ব্যক্তিকে বাঁচাতে গেলে নিগৃত হন এক মহিলাও। অসহায় ওই পরিবারকে উদ্ধারে না গিয়ে উল্টো মোবাইল ফোনে ছবি তুলতেই ব্যস্ত রইলেন কর্তব্যরত এক ট্রাফিক পুলিশ কর্মী। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ইংরেজবাজার শহরের রাজমহল রোড এলাকায়। ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হতেই ক্লোজ করা হয়েছে ওই ট্রাফিক পুলিশ কর্মীকে। ভিডিয়ো ফুটেজ খতিয়ে দেখে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

আক্রান্ত ব্যাক্তি মহম্মদ ওয়াসিমুল হক পুকুরিয়ার পীরগঞ্জের বাসিন্দা। তিনি রতুয়ার পরাণপুর গ্রামপঞ্চায়েতের আয়ূষ বিভাগের চিকিৎসক। তাঁর স্ত্রী থানায় অভিযোগ করেছেন। এদিন শহরের পিরজপুর এলাকায় নিজেদের ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে ঘুরতে আসছিলেন ওই দম্পতি। রাজমহল রোড ট্রাফিক পয়েন্টে সিগন্যালের কারণে গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁরা। সিগন্যাল সবুজ হতেই আচমক দুই যুবক মোটর বাইক নিয়ে তাঁদের গাড়ির সামনে চলে আসে বলে অভিযোগ। মোটরবাইকটি উল্টে যায়।

অভিযোগ, ওয়াসিমুল হককে কিল, চড়, ঘুসি মারতে থাকে ওই যুবকেরা। এমনকি, গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। স্বামীকে বাঁচাতে গেলে মারধর করা হয় মহিলাকেও। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিবাদ করতেই অভিযুক্তেরা পালিয়ে যায়। ওয়াসিমুলের মুখে সেলাই পড়েছে। এদিনই ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ করেছেন চিকিৎসকের স্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘স্বামীকে এলোপাথাড়ি ভাবে ঘুসি, চড় মারা হয়েছে। আমাকেও প্রকাশ্যে মারধর করা হয়েছে। আমরা চাই, পুলিশ অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তি দিক।’’

এদিকে, ঘটনাস্থলেই দাঁড়িয়েছিলেন কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ নিরঞ্জন মণ্ডল। অভিযোগ, তিনি ওই পরিবারকে উদ্ধার না করে মোবাইল ফোনেই ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। স্থানীয়দের দাবি, ঘটনাস্থল থেকে ইংরেজবাজার থানার দূরত্ব মাত্র ৩০০ মিটার। ওই পুলিশ কর্মী থানায় যোগাযোগ করলে মারধরের হাত থেকে বেঁচে যেতেন ওই দম্পতি। ঘটনাটি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। পুলিশের ভুমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।

আক্রান্ত চিকিৎসক বলেন, ‘‘পুলিশের সামনেই আমাদের মারধর করা হয়েছে। অথচ পুলিশ আমাদের উদ্ধারে এগিয়ে আসেনি।’’ ঘটনায় ওই ট্রাফিক পুলিশ কর্মীকে ক্লোজ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মালদহের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া। তিনি বলেন, ‘‘ওই পুলিশ কর্মীর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। তাঁর ভুমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার ভিডিয়ো দেখে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Lynching
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy