প্রতীকী ছবি।
বাগরাকোটের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রশাসন, স্বাস্থ্য দফতর ও বাগান কর্তৃপক্ষের তৎপরতা তুঙ্গে। এরই মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় উদ্বেগ বাড়িয়ে নতুন করে আরও ৭ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গেল ওদলাবাড়িতে। পাথরঝোরা, মানজিং বস্তিতেও ডেঙ্গি ছড়ানোর খবর মিলেছে বৃহস্পতিবার। তবে পুরনো ৪৬ জন আক্রান্তের মধ্যে ২০ জন সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছেন বলে জানিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মালের বিএমওএইচ দীপঙ্কর করের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য দফতরের বিশেষ টিম বাগরাকোট চা বাগানে ডেঙ্গির আতুড়ঘর বিডিআর বস্তি ও টপ লাইনের ৬০০ বাড়ি ঘুরে ঘুরে নতুন করে ‘পাল্স মোড’ সমীক্ষা চালানো শুরু করে। ওদলাবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসকের উপস্থিতিতে শুরু হয়ে বিশেষ ফিভার ক্যাম্পও।
বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টো পর্যন্ত ক্যাম্পে নতুন করে ৪০ জনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য মাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর। বুধবার বাগানের ফিভার ক্যাম্প থেকেই নতুন করে দু’জনকে ডেঙ্গির উপসর্গ সহ চিকিৎসার জন্য ওদলাবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ইতিমধ্যে দু’হাজারটি মশারি ব্লক স্বাস্থ্য দপ্তরের হাতে এসে পৌঁছেছে। বুধবার থেকেই সেগুলো বিতরণ করা শুরু হয়েছে বাগরাকোটের শ্রমিক মহল্লায়।
মালের মহকুমাশাসক পিয়ুস ভাগনরাও শালুঙ্কে বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘এলাকার প্রায় ৩০০ বাড়িতে সাফাই অভিযান চালানো হয়েছে। শুক্রবার আরও ৩০০ বাড়িতে এই অভিযান চলবে। মশা মারতে নিয়মিতভাবে ফগিং চলছে। এলাকায় কোথাও যাতে জল জমে থাকতে না পারে তা সুনিশ্চিত করতে প্রশাসনের তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’’ উদ্বেগজনক এই পরিস্থিতিতে বসে নেই বাগান কর্তৃপক্ষও।বা গানের টপ লাইনে বহু পুরনো ও পরিত্যক্ত একটি জলাধারে মশার লার্ভা পাওয়া গিয়েছে জানতে পেরেই কংক্রিটের জলাধারটি এদিন ভেঙে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy