বহির্বিভাগে রোগী দেখাতে গেলে কাউন্টারে টিকিট করার সময় বাড়তি টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রোগী সহায়তা কেন্দ্রের এক কর্মীর বিরুদ্ধে।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ঘটনা। রোগী সহায়তা কেন্দ্র চালানোর দায়িত্ব রেডক্রসকে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, বহির্বিভাগে রোগী দেখাতে টিকিট করতে গেলে কাউন্টারে ওই কর্মী বাড়তি টাকা নিচ্ছিলেন। ২ টাকার টিকিট করতে তিনি পাঁচ টাকা নিচ্ছিলেন। বাড়তি টাকা দিলে ভিড় লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছিল না। তা নিয়েই প্রতিবাদ জানান এক ছাত্রী। তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, সহকারি সুপার এবং চিকিৎসকদের একটি দল গিয়ে ওই কর্মীকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। অভিযুক্তকে কাজ থেকে সরিয়ে দিতে বলা হয়েছে দায়িত্বে থাকা সংস্থাকে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত কর্মীর নাম বিল্টু পাল। স্বাস্থ্য কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, এ ভাবে বাড়তি টাকা নেওয়া হত। এই ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা উচিত। হাসপাতালের সুপার নির্মল বেরা বলেন, ‘‘হাতেনাতে অভিযুক্তকে ধরা হয়েছে। অভিযুক্ত কর্মীকে কাজ থেকে সরাতে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে বলা হয়েছে।’’ তবে ওই কর্মীকে এখনও সরানো হয়নি বলে অভিযোগ। বিল্টু পাল বলেন, ‘‘অভিযোগ ঠিক নয়। একজন অসুস্থ শিশুকে নিয়ে এলে আগে টিকিট দেওয়া হয়েছে। তিনি পাঁচ টাকা দিয়েছিলেন। বাড়তি টাকা ফেরত দেওয়া হয়নি। কোনও অনিয়ম ঘটেনি। অভিযোগকারী নিয়ম ভেঙে আগে টিকিট চান। দিইনি বলে অভিযোগ করেছেন।’’ ওই কর্মী এখনও কাজ করছেন বলে দাবি করেন।
অভিযোগকারী প্রীতি মণ্ডল এবং তাঁর পরিবারের লোকেরা জানান, গত ১ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে বহির্বিভাগে চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন প্রীতি এবং তাঁর দিদি। ভিড়ে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁরা। সে সময় অভিযুক্ত কর্মী বাড়তি টাকা নিয়ে নিয়ম ভেঙে লাইনের বাইরে কেন অনেককে টিকিট করে দিচ্ছেন তা নিয়ে প্রীতি প্রশ্ন তোলেন। কেন লাইনে দাঁড়িয়ে তাঁরা পরে টিকিট পাবেন তা জানতে চান। অনিয়ম হচ্ছে দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানান। রেডক্রসের শিলিগুড়ি শাখার সম্পাদক দীপক সরকার বলেন, ‘‘অভিযোগ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে সংস্থায় আলোচনা করে ওই কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
অন্য দিকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের কর্মীদের একাংশের কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। হাসপাতালের সহকারি সুপার সুদীপ্ত মণ্ডল অভিযোগ করেছেন বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থার যে কর্মীরা কাজ করছেন তাদের কয়েকজন কথা শুনতে চাইছেন না। এক কর্মীকে দোতলায় ওয়ার্ডের সামনে ভিড় করে দাঁড়িয়ে থাকা রোগীর লোকদের সরাতে বলা হলে তিনি তা করেননি। উল্টে সহকারি সুপাররের কাজকর্ম নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলে তর্ক করেন বলে অভিযোগ। সুপার জানিয়েছিন, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বৈঠক ডাকা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy