হরিণ পুষছেন বিডিও! একটি-দু’টি নয়, এক সঙ্গে ২৫টি। সঙ্গে আবার উটপাখি, কালো মুরগি-সহ আরও বেশ কিছু পশু-পাখি!
মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লক দফতরেই ছোটো মগদাব বানিয়ে গত কয়েক বছর ধরে চলছে পর্যটনকেন্দ্র গড়ার প্রয়াস। যার ছবি দেখে বৃত্তান্ত শুনে চমকে গিয়েছেন নবান্নের কর্তারাও। ব্লক কার্যালয় চত্বরেই কিছুটা এলাকা জুড়ে তৈরি করা হয়েছে ওই পার্ক। মাঝখানে বড় পুকুর। সেখানে রয়েছে নৌকাবিহারের ব্যবস্থাও। এই মৃগদাব নির্মাণ এবং রক্ষণাবেক্ষণের খরচ দিয়েছেন পঞ্চায়েত সমিতি, ব্লক প্রশাসন এবং স্থানীয় বাসিন্দারা। আলাদা করে রাজ্য সরকারের কাছে এই মৃগোদ্যান চালানোর জন্যে কোনও অর্থ চাওয়া হয়নি।
তবে বন দফতরের কর্মী বা আধিকারিকরা মাঝে মধ্যে মৃগদাব দেখে যান। দিয়ে যান পরামর্শ। হরিণদের খাবার দেওয়া এবং পরিচর্যার জন্য রয়েছেন কয়েক জন অস্থায়ী কর্মী। তাঁদের বেতন পঞ্চায়েত সমিতি ও ব্লক প্রশাসনের নিজস্ব তহবিল থেকেই দেওয়া হয়। বহু মানুষ এই পার্কে ঘুরতে আসেন। টিকিটের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। সেখান থেকেও কিছু অর্থের সংস্থান হয়। লাগোয়া অতিথিশালায় বহিরাগত কেউ এলে তাঁদের রাত্রিবাসেরও ব্যবস্থা রয়েছে। যদিও অতিমারি পরিস্থিতির পর থেকে সেই অতিথিশালায় ব্লক কর্মীরাই থাকছেন।
স্থানীয় সূত্রের খবর, কয়েক বছর আগে তৎকালীন বিডিও অশোককুমার মোদক ছ’টি হরিণ নিয়ে এই মৃগোদ্যান চালু করেন। তাঁকে অর্থসাহায্য করেছিলেন হরিশ্চন্দ্র পুর-২ ব্লকের বারদুয়ারি গ্রামেরই কিছু ব্যবসায়ী। হরিণের সংখ্যা এখন বেড়ে হয়েছে ২৫। বর্তমান বিডিও বিজয় গিরি জানিয়েছেন, বন দফতরের প্রয়োজনীয় অনুমতি নিয়েই এই মৃগদাব চালু করা হয়। ভবিষ্যতে এখানে একটি পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তুলতে আরও কিছু পরিকল্পনা রয়েছে ব্লক প্রশাসন এবং পঞ্চায়েত সমিতির।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy