দার্জিলিং চিড়িয়াখানা। — নিজস্ব চিত্র।
প্রথম বছরেই দেশের সেরা চিড়িয়াখানার সম্মান পেল দার্জিলিঙের ‘পদ্মজা নায়ডু হিমালয়ান জুলজিক্যাল পার্ক’। এ বছরই প্রথম দেশের চিড়িয়াখানাগুলিকে নিয়ে র্যাঙ্কিং প্রথা চালু করেছে জাতীয় চিড়িয়াখানা নিয়ামক সংস্থা ‘সেন্ট্রাল জু অথরিটি’। আর প্রথম বছরেই বাজিমাত শৈলশহরের চিড়িয়াখানার।
চেন্নাই, দিল্লি এবং কলকাতা এবং ওড়িশার নন্দনকাননকে পিছনে ফেলে এ বার শীর্ষে দার্জিলিং চিড়িয়াখানা। ‘সেন্ট্রাল জু অথরিটি’ সূত্রের খবর, মূলত চিড়িয়াখানা কী ভাবে চলছে, পর্যটকদের ভিড়, ব্যবস্থা, পরিকাঠামো, আবাসিক বন্যপ্রাণীদের প্রজননের পরিকাঠামোর মতো বিষয়গুলির নিরিখে এই ‘র্যাঙ্কিং’ চালু করা হয়েছে। তাতে দেশের অন্য চিড়িয়াখানাকে পিছনে ফেলে শীর্ষে পদ্মজা নায়ড়ু চিড়িয়াখানা।
দার্জিলিঙের এই চিড়িয়াখানায় রেড পান্ডার কৃত্রিম প্রজননের খ্যাত বিশ্বজোড়া। ১৯৮৬ সাল থেকে এই প্রজনন প্রক্রিয়া চালু রয়েছে। যার জন্যে পৃথক প্রজনন কেন্দ্র ঘুমে চালু করেছে কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া তুষারচিতার (স্নো লেপার্ড) প্রজনন হয় ১৯৮৩ সাল থেকে। ১৯৫৮ সালে দার্জিলিং শহরের উপকণ্ঠে ৬৭ একর জমির ওপর এই চিড়িয়াখানা তৈরি করা হয়েছিল। ১৯৭৫ সালে রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল প্রয়াত পদ্মজা নাইডুর নামে চিড়িয়াখানার নামকরণ করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধী।
চিড়িয়াখানার ডিরেক্টর বাসবরাজ বুধবার বলেন, ‘‘আগামী দিনে পর্যটকদের সুবিধার জন্যে আরও কিছু পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রজননে বাড়তি নজর দেওয়া হবে। এই খবরে খুশি পাহাড়ে বেড়াতে আসা পর্যটক ও বাসিন্দারাও। ‘সেন্ট্রাল জু অথরিটি’ সূত্রের খবর, পশুপাখিদের রক্ষণাবেক্ষণ থেকে শুরু করে তাদের প্রজনন, পরিচালনা, চিড়িয়াখানায় আসা পর্যটকদের সুযোগ-সুবিধা মিলিয়ে প্রায় ৮৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে দেশের মধ্যে সেরা চিড়িয়াখানার শিরোপা ছিনিয়ে নিয়েছে দার্জিলিং চিড়িয়াখানা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy