রক্ত দিয়ে লেখা চিঠি দেখাচ্ছেন নীরজ। — নিজস্ব চিত্র।
তিনি বিধায়ক। কিন্তু তাঁর কথার কোনও ‘গুরুত্ব’ই নেই। দলে থেকেও তিনি কার্যত ‘ব্রাত্য’। তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে নিজের রক্ত দিয়ে তাঁকে চিঠি লিখলেন দার্জিলিঙের বিজেপি বিধায়ক নীরজ জিম্বা। চিঠিতে মোদীর কাছে পাহাড় সমস্যার স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান চেয়েছেন নীরজ।
বিগত দিনে লোকসভা ভোটে পাহাড় বিজেপিকে খালি হাতে ফেরায়নি। পর পর তিন বার দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে উড়েছে পদ্মপতাকা। প্রতি বারই বিজেপির পক্ষ থেকে পাহাড়বাসীকে পৃথক রাজ্য, পাহাড় সমস্যার স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান প্রভৃতি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। সংকল্পপত্রে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের বিষয়টি উল্লেখ করেছিল বিজেপি। কিন্তু গত ১৫ বছরে একটি দাবিও পূরণ হয়নি বলে অভিযোগ পাহাড়বাসীর একাংশের। তারই জেরে জিটিএ এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনে পাহাড়ে ধরাশায়ী হতে হয়েছে বিজেপিকে। সামনে আরও একটি লোকসভা ভোট। পাহাড়বাসীর দাবি পূরণ না হওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে নিজের রক্ত দিয়ে চিঠি লিখলেন বিধায়ক নীরজ। তার পর বললেন, ‘‘আমরা বহু বার বিজেপিকে পাহাড় থেকে জয় পাইয়ে দিয়েছি। এ বার লোকসভা নির্বাচনেও বিজেপি জিতবে। কিন্তু এত দিনেও পাহাড় সমস্যার স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের দাবি পূরণ হল না৷ তাই এ বার প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে রক্ত দিয়ে চিঠি লিখলাম। নির্বাচনের জয়ের পর প্রথম সংসদ অধিবেশনেই প্রধানমন্ত্রী পাহাড়ের স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান করবেন বলে আমরা আশাবাদী।’’ পাশাপাশি নীরজ জানিয়েছেন, সমাধান এমন হতে হবে যাতে রাজ্য সরকারেরও তাতে সায় থাকে।
শনিবারই বাংলার ২০ আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি। তবে তাতে নেই দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের নাম। এই আসনে রাজু বিস্তাকে বদলে অন্য কাউকে প্রার্থী করা হবে বলে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে পাহাড়ে। সেই দৌড়ে এগিয়ে আছেন প্রাক্তন বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেও দাবি অনেকের। যদিও নীরজ রাজুর পাশেই আছেন। তিনি বলেন, ‘‘প্রার্থী হিসাবে আমরা রাজু বিস্তাকেই চাইছি।’’
নীরজের সাংবাদিক বৈঠকের পরেই তাঁকে তীব্র আক্রমণ করেছে এই মুহূর্তে পাহাড়ে শক্তিশালী ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা। মোর্চার মুখপাত্র শক্তিপ্রসাদ শর্মা বলেন, ‘‘গোটাটাই রাজনৈতিক গিমিক। কিন্তু এখন এই নাটকেও কোনও লাভ হবে না। সময় পেরিয়ে গিয়েছে। বিভেদের রাজনীতি করে আর পাহাড়বাসীকে ভোলানো যাবে না। বিজেপিও সেটা বুঝতে পারছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy