প্রশ্নের মুখে: তৈরির দু’মাসের মধ্যেই ভাঙল বাঁধ। ছবি: অমিত মোহান্ত
বন্যার সময় এলাকা রক্ষায় বাঁধ তৈরি হয়েছে মাত্র দু’মাস আগেই। অথচ এর মধ্যেই জলের তোড়ে ভেঙে গেল নদীবাঁধের একাংশ। এই অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে ওই বাঁধটির মান নিয়েই।
বালুরঘাটের পাগলিগঞ্জ এলাকায় নবনির্মিত বাঁধটি ভেঙে যাওয়ায় এলাকায় নদীর জল ঢুকে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। দ্রুত প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি তুলেছেন উদ্বিগ্ন বাসিন্দারা।
নদীর একদিকে পাগলিগঞ্জ, অন্যদিকে খাসপুর—আর এই দুই এলাকার মাঝে আত্রেয়ীর ওপর ওই সেতুটি তৈরি হয়েছে। সেতুর সংযোগকারী রাস্তাকে মাঝে রেখে পাগলিগঞ্জের দিকে নদী বরাবর ৬৫০ মিটারের বাঁধ তৈরি করা হয়। মাটি ঢিবির উপর বোল্ডার ফেলে প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যয়ে বাঁধটি তৈরি হয়। বর্ষায় নদীর জল ও স্রোত বাড়তেই সেতু সংযোগকারী রাস্তার পাশে বাঁধের কিছুটা অংশ ধসে পড়ে। প্রায় ২০ ফিটের এই ভাঙনে এলাকায় জল ঢুকে পড়ার মত পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে বলে জানালেন বাসিন্দারা। এখন ওই অংশ দিয়ে জল ঢুকে একটি গর্তে জমা হলেও ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন তাঁরা। কেননা ভাঙা জায়গা দিয়ে জল ঢুকে ক্ষতি হতে পারে সেতু সংযোগকারী রাস্তাটিরও। জলের ধাক্কায় বাঁধের বিরাট অংশ ভেঙে পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা বাসিন্দাদের।
সেতু সংযোগকারী রাস্তাটি রক্ষার উদ্দেশ্যে সম্প্রতি সেচ দফতর এই বাঁধটি তৈরি করে। কিন্তু বর্ষার প্রথম ধাক্কাতেই বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দা পরিমল সরকার, উজ্জ্বল বিশ্বাসরা জানান, বাঁধের ফাটল বা ভাঙা জায়গা দিয়ে জল ঢুকে একের পর এক ধস নামার সম্ভাবনা রয়েছে। ধীরে ধীরে ভাঙতে শুরু করবে সেতু সংযোগকারী রাস্তাও। পাগলিগঞ্জের দিকে ওই সেতুতে আর একটি পিলার বসালে ওই সমস্যা হত না বলে দাবি তাঁদের।
সেতু সংযোগকারী রাস্তা তৈরির দায়িত্বে থাকা ঠিকাদার সংস্থার প্রতিনিধি বিশ্বনাথ দাস বলেন, ‘‘এখন রাস্তাটি আস্ত রাখা যাবে কিনা সেটাই আমাদের চিন্তা। কেননা এলাকার জল নিষ্কাশনের ক্যানেলটির উপর বাঁধটি ভেঙেছে। সেতু সংযোগকারী রাস্তা এবং বাঁধের বড় অংশ রক্ষা করতে সেচ দফতরকে দ্রুত পদক্ষেপ করতে হবে।’’ সেচ দফতরের সহকারী বাস্তুকার রঞ্জন রায় জানান, শুক্রবার থেকে বাঁধের ভাঙা অংশ মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy