Advertisement
২১ নভেম্বর ২০২৪
Kanyashree Prakalpa

‘সুপারউওম্যান’ কন্যাশ্রীরাও, জানাতে গ্রাফিক নভেল

‘কন্যাশ্রী’দের মধ্যে তা বিলি করে তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে এমনই পরিকল্পনা করেছে জেলা প্রশাসন।

বার্তা: জেলা প্রশাসনের গ্রাফিক নভেলের প্রচ্ছদ। নিজস্ব চিত্র

বার্তা: জেলা প্রশাসনের গ্রাফিক নভেলের প্রচ্ছদ। নিজস্ব চিত্র

নীহার বিশ্বাস
বালুরঘাট শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৩:৩৪
Share: Save:

শুধু ছেলেরাই নয়, ‘সুপার পাওয়ার’ পেয়ে মেয়েরাও ‘সুপারউওম্যান’ হয়ে সবার নজর কাড়তে পারে— সেই ধারণা তুলে ধরতে উদ্যোগী হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসন। জনপ্রিয় কমিকস চরিত্রের আদলে মেয়েদের সুপারপাওয়ার নিয়ে ‘গ্রাফিক নভেল’ তৈরি করা হয়েছে। ‘কন্যাশ্রী’দের মধ্যে তা বিলি করে তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে এমনই পরিকল্পনা করেছে জেলা প্রশাসন।

জেলার কন্যাশ্রী প্রকল্প আধিকারিক মহাদ্যুতি অধিকারি বলেন, ‘‘শুধু ছেলেরাই সব পারে, এই ধারণা এখনও রয়েছে। বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় সেই ভাবনা আরও বেশি। তা ভাঙতেই ওই নভেলের মাধ্যমে মেয়েদের আত্মবিশ্বাসী করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’’ তিনি জানান, মহানগরীর তুলনায় জেলাগুলিতে মেয়েদের স্বনির্ভরতা নিয়ে এখনও অনেক বেশি সমস্যায় পড়তে হয় প্রশাসনকে। কারণ, শহরের তুলনায় গ্রামীণ এলাকায় মেয়েদের উপরে নানা বিধিনিষেধ থাকে। মেয়েদের স্বাভাবিক বিকাশের আগেই বিয়ে দিয়ে সাংসারিক জীবনে ঠেলে দেন অনেক অভিভাবকই।

প্রশাসনিক কর্তাদের একাংশের বক্তব্য, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অবস্থার কিছুটা পরিবর্তন হলেও এখনও সম্পূর্ণ স্বাধীনতা পায়নি মেয়েরা। অভিযোগ, পড়াশোনা মাঝপথে বন্ধ করে অনেককে কমবয়সে বিয়ে দেওয়ায় সমাজে মেয়েদের ‘উন্নয়ন’ আক্ষরিক অর্থেই হয়নি। সে সব মেয়েরা উপযুক্ত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হওয়ায় সমাজের সার্বিক বিকাশও ব্যহত হচ্ছে।

জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, এই গ্রাফিক নভেলে গ্রামের এক স্কুলছাত্রীর চরিত্রকে তুলে ধরা হয়েছে। বিয়ের বয়স না হতেই পড়াশোনা ছেড়ে তাকে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চাপ দেন ওই ছাত্রীর বাবা। কিন্তু সে বিয়ে না করে উচ্চশিক্ষিত হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চায়। তাই কমবয়সে বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত জানায়। তার পর লেখাপড়া করে৷ রাস্তাঘাটে আত্মরক্ষায় ক্যারাটে প্রশিক্ষণ, অন্য মেয়েদের সচেতন করার পাশাপাশি কলেজ পাশ করেন। পরে পান সরকারি চাকরিও। সরকারি আধিকারিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে নিজের স্কুলে এসে মেয়েদের ‘ক্ষমতায়ন’ নিয়ে বক্তৃতাও দেন তিনি। গ্রাফিক নভেলে রয়েছে তা-ই।

মহাদ্যুতিবাবু নিজেই নভেলটি লিখেছেন। তার দাবি, এই গ্রাফিক নভেলের গল্প ছাত্রীদের অনুপ্রেরণা দেবে। তাই জেলার প্রত্যেক কন্যাশ্রী মেয়েকে ‘উত্তরণ’ নামে ওই গ্রাফিক নভেল দেওয়া হবে। মনোগ্রাহী কথোপকথন ও সঙ্গে উপযুক্ত সুন্দর গ্রাফিক ছাত্রীদের আকর্ষণ করবে বলে তিনি মনে করেন। কয়েক মাসের মধ্যেই কন্যাশ্রী মেয়েদের জন্য ওই নভেল ছাপিয়ে বিলি করা হবে।

অন্য বিষয়গুলি:

Kanyashree Prakalpa Graphic Novel Dakshin Dinajpur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy