প্রতীকী ছবি
সংরক্ষণের গেরোয় গত নির্বাচনে জেতা কাউন্সিলরদের অন্য ওয়ার্ডে দাঁড় করানোর কথা ভাবছে কোচবিহার জেলা সিপিএম। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত পুরভোটে দলের টিকিটে জয়ী তিনজন কাউন্সিলর এবার আসন সংরক্ষণের গেরোয় নিজেদের জেতা ওয়ার্ডে লড়তে পারছেন না। তাদের মধ্যে রয়েছেন কোচবিহার পুরসভার বিরোধী দলনেতা মহানন্দ সাহা, দলের জেলা কমিটির সদস্য পার্থপ্রতিম সেনগুপ্ত, রঞ্জন সেনগুপ্ত।
এবারের পুরভোটে ওই কাউন্সিলরদের মধ্যে কাদের অন্য ওয়ার্ডে প্রার্থী করা যেতে পারে তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা হচ্ছে। তারমধ্যে বিরোধী দলনেতাকে অন্য ওয়ার্ডে প্রার্থী করার বিষয়ে আলোচনা এগিয়েছে। সিপিএমের কোচবিহার জেলা সম্পাদক অনন্ত রায় বলেন, “প্রার্থী তালিকা তৈরি হয়নি। তবে এটুকু বলতে পারি অভিজ্ঞ, পরীক্ষিতদের আগামী পুরভোটে প্রার্থী করা নিয়ে দলে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
পুরসভার বিরোধী দলনেতা ৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে দু’বার জয়ী হন। এবারে ওই আসনটি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। পুরভোটে বাম-কংগ্রেস জোট করে আসন রফা চূড়ান্ত করার পরে প্রার্থী তালিকা করার তোড়জোড় শুরু করেছে সিপিএম। জেতার পর কোনও পরিস্থিতিতে ‘বিক্রি হবেন না’ এমন প্রার্থীর খোঁজ শুরুর কথাও দলের অন্দরে ঘুরছে। তাতেই নতুন মুখের পাশাপাশি দলের প্রতি আনুগত্যে পরীক্ষিতদের অন্য ওয়ার্ডে প্রার্থী করার বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু হয়। মহানন্দ যেহেতু বিরোধী দলনেতার দায়িত্ব পালন করছেন, তাই তাঁর ব্যাপারে বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে। মহানন্দ অবশ্য ওই ব্যাপারে কিছু বলতে চাননি। তিনি বলেন, “আমি পার্টির সর্বক্ষণের একজন কর্মীমাত্র। পার্টি যে নির্দেশ দেবে সেটাই চূড়ান্ত। অন্য কোনও বিষয় নেই।”
মহানন্দ কোন ওয়ার্ড থেকে লড়তে পারেন? দলীয় সূত্রের খবর, এবার কোচবিহারে ২০টি আসনের মধ্যে ৩, ৭, ১০, ১৩, ১৪, ১৭ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএমের প্রতীকে মঞ্চের প্রার্থী দেওয়ার কথা। ১৭ নম্বর নিয়েই বেশি আলোচনা হচ্ছে। তবে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে বিকল্প আসনও দেখা হচ্ছে। ১৮ নম্বর ওয়ার্ডটি গত পুরভোটে জিতেছিলেন সিপিএমের পার্থপ্রতিম সেনগুপ্ত। ৭ নম্বর ওয়ার্ডে জিতেছিলেন রঞ্জন ভট্টাচার্য। তাঁদের অন্য ওয়ার্ডে লড়ার প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে। কোনও কারণে তা না হলে ১৮ নম্বরে পার্থর দিদি এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলর। দলের জেলা কমিটির সদস্য মধুছন্দা সেনগুপ্ত ওই আসনে এবার টিকিট পেতে পারেন। ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রঞ্জন ভট্টাচার্যের পরিবারের সদস্যকেও একই ভাবে ওই আসনে এবার প্রার্থী করা হতে পারে বলেও আলোচনা রয়েছে।
মহানন্দের ৩ নম্বর ওয়ার্ড নিয়েও এমন ভাবনা হচ্ছে। যদিও ওই ব্যাপারে দলের নেতারা কোনও মন্তব্য করতে চাননি। পার্থপ্রতিম সেনগুপ্ত বলেন, “ দলের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত।” রঞ্জন বলেন, “দল যে দায়িত্ব দেবে সেটাই মেনে নেব।”
দলের অন্য এক নেতার কথায়, জোট গড়ে এবার ভোটে লড়াই হচ্ছে। জিততে সব শরিকদের ভোটও নিশ্চিত করা জরুরি। তাই প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার আগে মঞ্চের বৈঠকে ‘ঐক্যমত্য’ করেই এগোতে চাইছি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy