সিপিএম প্রার্থী অশোক ভট্টাচার্য। নিজস্ব চিত্র।
হেরে গেলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা শিলিগুড়ি পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। ৫১০ ভোটে তিনি শিলিগুড়ির ৬ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী মহম্মদ আলম খানের কাছে হেরে গিয়েছেন। হারের পর অশোকের প্রতিক্রিয়া, ‘‘একটা বিপর্যয় হয়েছে। আমাদের যে ভোট বিজেপি-তে গিয়েছিল, সেই ভোট আমাদের কাছে ফেরত আসার বদলে তৃণমূলের বাক্সে ঢুকেছে। আমাদের পলিটিক্যাল রিজেকশন হয়েছে। তবে কমিউনিস্ট পার্টি করি, হতাশায় ডুবে গিয়ে, ঘরে বসে গেলে হবে না।’’
প্রসঙ্গত, বিধানসভা ভোটে হারের পর নির্বাচনী রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন বাম জমানার দাপুটে পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য। কিন্তু প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য অশোককে ফোন করেন। তিনি বলেছিলেন, ‘‘বামেদের এই দুর্দিনে ভোটের ময়দান ছেড়ে যাওয়া চলবে না। শিলিগুড়িতে তোমাকেই বামেদের নেতৃত্ব দিতে হবে।’’ তার পরেই অশোক পুরভোটে দাঁড়ানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু ভোটের ফলে দেখা গেল, তৃণমূল প্রার্থীর কাছে ৫১০ ভোটে হেরে গিয়েছেন তিনি।
২০১৫-য় শিলিগুড়িতে পুরসভা ভোটে অশোক প্রণীত শিলিগুড়ি মডেল বিরোধীদের আলোচনার অন্যতম বিষয়বস্ত হয়ে উঠেছিল। প্রথমে কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে পরে নির্দলের সমর্থনে সে বার শিলিগুড়িতে পুরবোর্ড গড়েছিলেন অশোক। সেই বোর্ড পুরো মেয়াদ টিকে যায়। কিন্তু ২০২২-য় হওয়া শিলিগুড়ির পুরনিগমের ভোটে দেখা গেল, এই প্রথম শিলিগুড়ি শহরের বুকে উ়ডল তৃণমূলের সবুজ পতাকা। হেরে গেলেন বামেদের মুখ অশোক।
পরাজয়ের পর অশোক বলেন, ‘‘হারের সমস্ত কারণ পর্যালোচনা করা হবে। এটা রাজনৈতিক ভাবে আমার বিপর্যয়। ব্যক্তিগত বিপর্যয় ঘটেছিল কিছু দিন আগে। তবে ভোটে তো হার-জিৎ থাকবেই। মেনে নিতে হবে।’’
তবে কংগ্রেসের শঙ্কর মালাকারের অভিযোগ, সিপিএম যদি তাঁদের দলের সঙ্গে জোট করত, তা হলে শিলিগুড়িতে বোর্ড গড়ত তারা। অশোক যদিও বলেন, ‘‘হারের বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখা হবে। তাতে এই বিষয়টিও থাকবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy