Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Siliguri District Hospital

জ্বর থাকলে হবে পরীক্ষা

হাসপাতালের ফিভার ক্লিনিকে এলেই প্রথমে লালারস দিয়ে তারপর ডাক্তারকে দেখাতে হচ্ছে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সৌমিত্র কুণ্ডু
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০২০ ০৩:৪৯
Share: Save:

জ্বর নিয়ে রোগী এলেই আগে কোভিড পরীক্ষার নির্দেশ দিল শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এতদিন জ্বরের রোগীরা ফিভার ক্লিনিকে দেখাতে এলে আগে চিকিৎসক দেখতেন। তিনি রোগীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে, রোগী বাইরে কোথাও গিয়েছিলেন কি না খোঁজ নিয়ে, করোনার উপসর্গ বা সম্ভবনা মনে করলে পরীক্ষা করতে বলতেন। সামান্য জ্বর থাকলে ওষুধ দিয়ে কয়েকদিন দেখতে বলতেন। এখন উল্টো হবে। হাসপাতালের ফিভার ক্লিনিকে এলেই প্রথমে লালারস দিয়ে তারপর ডাক্তারকে দেখাতে হচ্ছে। তাতে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যাও বাড়ানো যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। তা ছাড়া ভিড়ও অনেকটা এড়ানো সম্ভব হচ্ছে বলে দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। আগে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালেও যাদের প্রয়োজন রয়েছে বলে চিকিৎসকরা মনে করতেন তাঁদেরই পরীক্ষা হতো। এখন তাঁরাও কোভিড স্ক্রিনিং বা ফিভার ক্লিনিকে আসা রোগীদের যতটা বেশি সম্ভব পরীক্ষা করাতে চেষ্টা করছেন বলে জানান।

শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের সুপার অমিতাভ মণ্ডল বলেন, ‘‘হাসপাতালে ফিভার ক্লিনিকে আসা সমস্ত রোগীদেরই যাতে লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হয় তা বলা হয়েছে। ফিভার ক্লিনিকে রোগী এলে আগে লালারস দিয়ে তবেই চিকিৎসককে দেখাচ্ছেন।’’ তাতে প্রতিদিন অন্তত ৪০ জনের লালা নেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে ইন্ডিয়ান কাউন্সিলর অব মেডিক্যাল রিসার্চের নির্দেশ মেনে উপসর্গ রয়েছে, সেই সঙ্গে করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে এসেছে কি না বা বাইরে থেকে ফিরেছে কি না সে সব দেখে লালারস পরীক্ষা করানোর জন্য সুপারিশ করতেন চিকিৎসক। এখন যতটা বেশি সম্ভব পরীক্ষা করানোর জন্যই তারা বলছেন।

তা ছাড়া আগে ফিভার ক্লিনিকে এসে কয়েক ঘণ্টা ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে চিকিৎসককে দেখানো, ফের লাইনে দাঁড়িয়ে লালারস দিতে হতো। এখন লালারস দিতে লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে না। তা দিয়েই রোগীরা ফিভার ক্লিনিকে দেখাচ্ছেন তাতে ভিড় কম হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের সুপার কৌশিক সমাজদারও জানান, এখন জ্বর থাকলে পরীক্ষা করানো হচ্ছে।

শিলিগুড়ি শহরেই আক্রান্তের সংখ্যা দুই হাজার সাতশোর মতো। শহরে করোনার সংক্রমণ রোধে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর কথা বারবার বলা হয়েছে। সম্প্রতি পুরসভার উদ্যোগে ৪৪ এবং ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে দু’টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে লালারস সংগ্রহের ব্যবস্থা হয়। বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন বেশি হারে পরীক্ষা করে সংক্রমিতদের চিহ্নিত করে আলাদা করতে পারলে তবেই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। তাই হাসপাতালের এই চেষ্টা কাজে দেবে বলে চিকিৎসকরা আশাবাদী।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy