অক্সিজেনের সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হল জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ এবং জেলা প্রশাসন।
মাছের খামারের অক্সিজেন প্ল্যান্টের অভিজ্ঞতাকেই কাজে লাগিয়ে করোনা আবহে জেলায় অক্সিজেনের সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হল জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদ এবং জেলা প্রশাসন।
কোভিড রোগীদের চিকিৎসার সময় মাঝেমধ্যেই অক্সিজেনের সমস্যা সামনে চলে আসছে। সরকারি উদ্যোগে জেলার তিনটি হাসপাতালে ছোট-বড় অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরির সিদ্ধান্ত হলেও এখনও তা বাস্তবায়িত হয়নি। এই পরিস্থিতিতে মাছের খামারে বেসরকারি উদ্যোগে তৈরি অক্সিজেন প্ল্যান্টকে কী ভাবে মেডিক্যাল অক্সিজেন প্ল্যান্টে রূপান্তরিত করা যায়, মঙ্গলবার তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক সমীরণ মণ্ডল, জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা বর্মন, সহ-সভাধিপতি দুলাল দেবনাথ এবং জেলা মৎস্য আধিকারিক গোপালচন্দ্র গঙ্গোপাধ্যায়।
জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ বিধানসভার অন্তর্গত রানিনগরের বক্সিপাড়ায় দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে কৃপাণ সরকার নামে এক মাছ চাষি ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করে চলেছেন। উত্তর- পুর্ব ভারতে প্রায় ১৭ টি মাছ খামার তার সহযোগিতায় চলছে। গত বছর কোভিড সংক্রমণ শুরু হওয়ায় তিনি নিজের খামারে একটি অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরি করেন। সিলিন্ডারে করে মাছ চাষিদের এবং নিজের খামারে অক্সিজেন সরবরাহ করে আসছেন কৃপাণ। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সিলিন্ডারের সমস্যা তৈরি হওয়ায় নিজের খামারের বাইরে সে ভাবে অক্সিজেন দিতে পারছেন না। কখনও বিশেষ প্যাকেটেও অক্সিজেন ভরে নিয়ে যাচ্ছেন চাষিরা।
মঙ্গলবার কৃপাণ অক্সিজেন প্ল্যান্ট পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদের আধিকারিকেরা। জেলা সভাধিপতি বলেন, ‘‘কী ভাবে এটি কাজে লাগিয়ে দ্রুত কম খরচে অক্সিজেনের চাহিদা মেটানো যায়, সেই ব্যাপারে আলোচনা করা হবে।’’ সমীরণ বলেন, ‘‘এখানে আধুনিক পদ্ধতিতে অক্সিজেন উৎপাদনের যন্ত্র দেখলাম। উৎপাদিত অক্সিজেন কী ভাবে মানুষের কাজে ব্যবহার করা যায় সেই বিষয় নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy