—ফাইল চিত্র।
এত দিনে করোনা নিয়ে একবারই মাত্র শিরোনামে এসেছিল পাহাড়। প্রথমে যখন চেন্নাই ফেরত কালিম্পং নিবাসী এক মহিলার দেহে সংক্রমণ মেলে। সেই মহিলা মারা যান। কিন্তু তাঁর পরিবারের সংক্রমিত ১১ জনই পরে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন। সেই আতঙ্ক এ বারে ফিরে এল কার্শিয়াং ও সোনাদায়। দু’জায়গা থেকেই দু’জন করে বাসিন্দার দেহে করোনা সংক্রমণ মিলল। এঁরা প্রায় সকলেই অন্য রাজ্য থেকে বাড়ি ফিরেছেন। এঁরা ছাড়াও সমতল থেকে আরও তিন জনের সংক্রমণের খবর মিলেছে। সব মিলিয়ে, বাইরে থেকে ফেরা শ্রমিক এবং অন্য বাসিন্দাদের মধ্যে সংক্রমণের জেরে দার্জিলিং জেলায় নতুন করে সাত জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ মিলল। শিলিগুড়ি পুর এলাকা এবং দার্জিলিং জেলা মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৬ জন। তার মধ্যে ১১ জন বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর এবং প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন করে সংক্রমিতদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের কোয়রান্টিনে পাঠানো হচ্ছে। তার মধ্যে করোনার সংক্রমণ মিলল খড়িবাড়ির বাসিন্দা আরেক ব্যক্তির শরীরে। সম্প্রতি মুম্বই থেকে ফেরা খড়িবাড়ির খোল্টাজোতের বাসিন্দা ক্যান্সারের রোগী এক মহিলা করোনা আক্রান্ত হন। তাঁর সঙ্গেই মুম্বই গিয়েছিলেন, এমন এক জনের দেহে সংক্রমণের চিহ্ন মিলেছে এ দিন। তিনিও ক্যান্সারে আক্রান্ত। মহিলার শরীরে সংক্রমণ মেলার পর তাঁকে প্রথমে কোয়রান্টিনে, পরে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের আইশোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। প্রথম বার পরীক্ষায় তার কিছু না মিললেও দ্বিতীয় বার লালারসের পরীক্ষায় তাঁর শরীরে সংক্রমণ মেলে। তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল থেকে কোভিড হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে।
জিটিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, কার্শিয়াংয়ের ২ এবং সোনাদার ২ ব্যক্তির শরীরে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে। সোনাদার বাসিন্দা দু’জনই মহিলা। কার্শিয়াং হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান বিন্নি শর্মা জানান, কার্শিয়াংয়ের এক জন কোচবিহার থেকে ফিরেছেন। আরেক জন লখনউ থেকে। সোনাদার দু’জন উত্তরপ্রদেশে আত্মীয়ের বাড়ি গিয়েছিলেন। সম্প্রতি গাড়ি ভাড়া করে তাঁরা ফিরেছেন। চার জনকেই মাটিগাড়ার কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। তাঁদের সংস্পর্শে আসা ৯ জনকে কোয়রান্টিনে রাখা হচ্ছে। তাঁরা পরিবারের সদস্য এবং বন্ধু স্থানীয়।
প্রশাসন সূত্রে খবর, সম্প্রতি ভিন্ রাজ্য থেকে ফেরায় নকশালবাড়ির এক ব্যক্তি এবং বাগডোগরার হো চি মিন সরণির এক ব্যক্তিকে হাতিঘিষার কোয়রান্টিন সেন্টারে পাঠানো হয়েছিল। তাঁদের লালারস পরীক্ষায় করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে। নকশালবাড়ির বাসিন্দা ওই ব্যক্তি দিল্লি থেকে ফিরেছেন এবং বাগডোগরার আক্রান্ত ব্যক্তি মুম্বই থেকে ফেরেন। হাতিঘিষার কোয়রান্টিন সেন্টারে ৩৫ জন আছেন। সকলেরই লালারস পরীক্ষা করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy