Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus Lockdown

শারজা থেকে শিলিগুড়ি

বিমানবন্দর সূত্রের খবর, গত এক সপ্তাহ ধরে ওই বিমানটিকে নিয়ে দিল্লি, কলকাতায় আলোচনা হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২০ ০৫:৪৯
Share: Save:

গত মার্চ থেকে টানা লকডাউনে শারজা, দুবাই-সহ সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়়েছিলেন পাহাড় এবং রাজ্যের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দারা। শুক্রবার তাঁদের নিয়ে বিশেষ আন্তর্জাতিক বিমান বাগডোগরা বিমানবন্দরে পৌঁছল। এ দিন দুপুর সোয়া ১টা নাগাদ শারজা থেকে আসা বিমানটি সরাসরি বাগডোগরার মাটি ছুঁয়েছে। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, বিমানে এক শিশু-সহ ২১৬ জন যাত্রী ছিলেন। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই জিটিএ এলাকার বাসিন্দা। বিদেশের মাটিতে বেতন কমে, কাজ হারিয়ে এদের মধ্যে অনেকেই সমস্যায় পড়়েন। শেষে, দুবাইতে অনাবাসী ভারতীয় গোর্খাদের একটি সংগঠন এগিয়ে আসে। তাঁরা তালিকা তৈরি করে এদের এক জায়গায় এনে ‘এয়ার আরবিয়া’র চার্টাড বিমানে দেশে পাঠালেন।

বাগডোগরা বিমানবন্দর অধিকর্তা সুব্রমণী পি বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় বিমান মন্ত্রক, বিদেশ মন্ত্রক এবং রাজ্য সরকারের বিশেষ অনুমতিক্রমে বিমানটি সোজা শারজা থেকে বাগডোগরা এসেছিল। যাত্রীদের নামিয়ে ফিরে গিয়েছে। যাত্রীদের শারীরিক পরীক্ষা-সহ যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’’

বিমানবন্দর সূত্রের খবর, গত এক সপ্তাহ ধরে ওই বিমানটিকে নিয়ে দিল্লি, কলকাতায় আলোচনা হয়। কেন্দ্রীয় সরকার বন্দেভারত মিশনে বিদেশে আটকে পড়়া ভারতীয়দের ফেরত এনেছিল। সেরকম ব্যবস্থা করা যায় কি না তা নিয়ে কথা হলেও ফলপ্রসূ কিছু হয়নি। শেষে দুবাইয়ের গোর্খা সংগঠনটি চার্টার্ড বিমানের ব্যবস্থা করে। এদিন বিমানবন্দরে জিটিএ-র তরফে আলাদা হেল্প ডেস্ক খোলা হয়। সন্ধ্যা অবধি জিটিএ চেয়ারম্যান অনীত থাপার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে যাত্রীদের স্ক্রিনিং, খাবার দেওয়া, নথি দেখে নির্দিষ্ট বাসে বসানোর কাজের তদারকি করেন করোনা সম্পর্কিত জিটিএ হেল্পডেস্কের প্রধান বিন্নি শর্মা।

তিনি বলেন, ‘‘এই যাত্রীরা শপিং মল, হোটেল, রেস্তরাঁ, শোরুম, বিভিন্ন সংস্থায় কাজ করতেন। দুবাইয়ের গোর্খা সংগঠনের উদ্যোগে কেন্দ্র, রাজ্য সাড়়া দেওয়ায় সকলকে ফেরত আনা গেল।’’ সবাইকে বাসে করে দার্জিলিং, কালিম্পং, মিরিক-সহ বিভিন্ন এলাকায় হোটেল কোয়রান্টিনে সাত দিনের জন্য পাঠানো হয়েছে। দার্জিলিঙে দুটি বড়় হোটেলে বিমানের যাত্রীদের কোয়রান্টিন করা হচ্ছে। তাঁদের লালারস পরীক্ষা হবে। বাড়ি ফিরেও সকলকে সাত দিনের হোম কোয়রান্টিনে থাকতেই হবে। জিটিএ চেয়ারম্যান জানান, যাদের আর্থিক অবস্থা ভাল না তাঁদের ক্ষেত্রে খরচের বিষয়টি জিটিএ সহানুভূতির সঙ্গে দেখবে। এ দিন ইমিগ্রেশনে এক যাত্রীর শারীরিক পরিস্থিতি কিছুটা সন্দেহজনক হওয়ায় তাঁকে আলাদা করে পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Lockdown Sharjah Siliguri
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE