শাসন: পুলিশের ধমকে শেষে গলার গামছাই মুখে বাঁধলেন রিকশাচালক। বালুরঘাটে। ছবি: অমিত মোহান্ত
গত তিন দিনে উত্তরপ্রদেশ ও ঝাড়খণ্ড থেকে ফিরেছেন প্রায় কয়েকশো পরিযায়ী শ্রমিক। সূত্রের খবর, পায়ে হেঁটে ফিরছেন আরও অনেকেই। এ অবস্থায় গ্রিনজ়োনে থাকা গৌড়বঙ্গের একমাত্র জেলা দক্ষিণ দিনাজপুরে দ্রুত প্রয়োজনীয় কোয়রান্টিন কেন্দ্র খুলতে তৎপর হল জেলা প্রশাসন। তবে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে তাঁদের হোম কোয়রান্টিনে পাঠানোর যে নীতি জেলা নিয়েছে, তার সাফল্য নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে প্রশাসনের অন্দরেই।
মঙ্গলবার বালুরঘাটে জেলাশাসক নিখিল নির্মল জানান, জেলার ৮টি ব্লকে ২১টি কোয়রান্টিন কেন্দ্র চালু রয়েছে। আরও ৯টি কোয়রান্টিন কেন্দ্র বাড়ানোর উদ্যোগ চলছে। এক-দু’দিনের মধ্যে জেলায় ৩০টি কোয়রান্টিন পর্যবেক্ষন কেন্দ্র চালু করা হবে। তবে ভিন্ রাজ্য ফেরত শ্রমিকদের প্রাথমিক স্বাস্হ্য পরীক্ষার পর কোনও উপসর্গ না পেলে তাঁদের পুলিশের পক্ষ থেকে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে ১৪ দিনের হোম কোয়রান্টিনে থাকতে বলা হচ্ছে। ন্যূনতম উপসর্গ দেখা দিলে তাঁদের সরকারি কোয়রান্টিন কেন্দ্রে রেখে লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। যদিও এতে বিরাট ফাঁক তৈরি হচ্ছে বলে প্রশাসনের অন্দরেই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
এক সরকারি আধিকারিকের কথায় মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে একই পদ্ধতি মেনে স্বাস্হ্য দফতর থেকে পরিয়ায়ী শ্রমিকদের প্রাথমিক পরীক্ষা করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। হোম কোয়রান্টিনে থাকাকালীন দু’জন শ্রমিকের লালারস পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। ফলে সমস্যা বেড়ে যায়। ওই একই নীতি নেওয়ায় দক্ষিণ দিনাজপুরেও সমস্যা বাড়তে পারে বলে উদ্বিগ্ন অনেকেই।
অতিরিক্ত জেলাশাসক প্রণবকুমার ঘোষ জানান, সে কারণে কোয়রান্টিন কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। কোনও রকম ঝুঁকি নেওয়া হবে না বলেই দাবি তাঁর। জেলার উপমুখ্য স্বাস্হ্য আধিকারিক-টু কিশলয় দত্ত জানান, এ দিন পর্যন্ত জেলায় ১৯৭৪ জনের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। জেলার ২১টি কোয়রান্টিন কেন্দ্রে পর্যবক্ষণে আছেন ৩৮৩ জন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy