ফেরা: কোটা থেকে বালুরঘাটে বাসে করে ফিরল পড়ুয়ারা।
রাজস্থানের কোটা থেকে বাসে পড়ুয়াদের একটি দল রায়গঞ্জে ফিরতেই বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
শুক্রবার তিনটি বাসে রায়গঞ্জের ৫০ জন পড়ুয়া সুরেন্দ্রনাথ কলেজে পৌঁছন। সেখানে তাঁদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়। সেই সময়েই এলাকায় গুজব ছড়ায়, কলেজে করোনা আক্রান্ত পড়ুয়াদের রাখা হচ্ছে। তার জেরে স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ শুরু করেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে পুলিশ মাইক দিয়ে ঘোষণা করে— ‘কলেজে পড়ুয়াদের রাখা হবে না।’ তার পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। রায়গঞ্জের পুলিশ সুপার সুমিত কুমার বলেন, "গুজব ছড়িয়েছিল। বোঝানোর পরে সমস্যা মিটে যায়।’’
শনিবার মালদহ ও দক্ষিণ দিনাজপুরের পড়ুয়ারাও বাসে জেলায় ফেরেন। মালদহের ২১৮ জন ও দক্ষিণ দিনাজপুরের ৫৮ জন পড়ুয়া ১৪টি সরকারি বাসে করে জেলায় পৌঁছন। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে তাঁদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়। মালদহে পড়ুয়াদের লালারসের নমুনাও পরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করা হয়। তবে দুই দিনাজপুরের পড়ুয়াদের শুধুমাত্র থার্মাল স্ক্রিনিং করেই বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কেন তাঁদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
উত্তর দিনাজপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধানের বক্তব্য, ‘‘নিয়ম মেনেই স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়েছে। তার পরেই তাঁদের হোম কোয়রান্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’
লকডাউন শুরু হতেই কোটায় আটকে থাকা পড়ুয়ারা চরম উদ্বেগে পড়েন। তাঁদের বাড়ি ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হোক— রাজ্য সরকারের কাছে সেই আবেদন জানান পড়ুয়ারা। রাজ্য সরকার বাস পাঠায়। গত বুধবার পড়ুয়াদের নিয়ে সেই বাস রওনা দেয়। এ দিন সেই বাসগুলি জেলায় জেলায় ফিরে পডুয়াদের বাড়ি পৌঁছে দেয়।
প্রায় দু’মাস পরে বাড়ি ফিরতে পেরে খুশি পড়ুয়ারা। দক্ষিণ দিনাজপুরের বিক্রম মাহাতো, সাহাবাজ আহমেদ বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য।’’
এ দিকে পড়ুয়াদের হোম কোয়রান্টিনে রাখা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এক বাড়িতে পরিবারের সকলের সঙ্গে থেকে কী ভাবে কোয়রান্টিনের নিয়ম তাঁরা পালন করবেন, কত জন পড়ুয়ার বাড়িতে সেই ব্যবস্থা রয়েছে, তা নিয়ে অবশ্য সদুত্তর দিতে পারেনি প্রশাসন। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক বলেন, ‘‘ওঁরা সবাই শিক্ষিত। তাই গাইডলাইন মেনে হোম কোয়রান্টিনে থাকবেন এই আশা করাই যায়। আর যদি না থাকেন তা হলে কিছুই করার থাকবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy