লালারস নেওয়া হচ্ছে শিশুর। রায়গঞ্জ মেডিক্যালে। নিজস্ব চিত্র ।
আগামী অগাস্ট-সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে। সেই ঢেউয়ে বেশি সংখ্যক শিশুদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এক সপ্তাহ আগে রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের সঙ্গে প্রশাসনিক বৈঠকে এই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন করোনা নিয়ন্ত্রণের উত্তরবঙ্গের আধিকারিক (ওএসডি) সুশান্ত রায়। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আগে থেকেই জেলায় শিশুদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর প্রবণতা বাড়তে শুরু করেছে। রবিবার পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় মেডিক্যালে করোনা আক্রান্ত ডালখোলার বাসিন্দা এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে।
সহকারী সুপার সৌমাশিস রাউত বলেন, ‘‘তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আগেই দ্বিতীয় ঢেউয়ে গত প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে জেলায় ২ থেকে ১৬ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করেছে। শিশুদের সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে অভিভাবকদের করোনা বিধি সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।’’
মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষের দাবি, কয়েকদিন আগে রায়গঞ্জের বাসিন্দা বছর পাঁচেকের এক শিশুর (পুরুষ) করোনা পজ়িটিভ রিপোর্ট আসে। অথচ ওই শিশুর পরিবারের সকল সদস্যের করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। অনেক ক্ষেত্রে পরিবারের বড় সদস্যরা করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর শিশুদের লালারস পরীক্ষা করাচ্ছেন। সেই ক্ষেত্রে করোনা আক্রান্ত ৫০ শতাংশ পরিবারের উপসর্গহীন শিশুদের করোনা পজ়টিভ রিপোর্ট আসছে।
সৌমাশিস বলেন, ‘‘গত তিন সপ্তাহ ধরে মেডিক্যালের ফিভার ওয়ার্ডে প্রতিদিন গড়ে ৪-৫ করে জন শিশুকে তাদের লালারস পরীক্ষা করানোর জন্য মেডিক্যালের ফিভার ক্লিনিকে নিয়ে আসছেন তাদের পরিবারের লোকেরা। সেই পরীক্ষায় ২ থেকে ১৬ বছর বয়সী প্রায় ৬০ শতাংশ শিশুর করোনা পজ়িটিভ রিপোর্ট আসছে।’’ তাঁর দাবি, ১৮ বছরের বেশি বয়সী বাসিন্দাদের করোনার প্রতিষেধক দেওয়ার হার বাড়ছে। ফলে তৃতীয় ঢেউয়ে প্রতিষেধক না পাওয়া ১৮ বছরের কম বয়সী শিশু, কিশোর ও কিশোরীদের মধ্যে করোনার সংক্রমণ প্রবলভাবে ছড়ানোর আশঙ্কা করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy