ফাইল চিত্র।
করোনাকালে রাজ্যের মানুষের পাশে দাঁড়ানো তো দূরের কথা, ভোটে হেরে গিয়ে বিজেপি প্রতিহিংসার রাজনীতি শুরু করেছে বলে অভিযোগ করলেন মোর্চা নেতা বিমল গুরুং। সিবিআইকে হাতের পুতুল বানিয়ে বিজেপি যা করছে তা গণতন্ত্রের জন্য উদ্বেগের কারণ, এই কথা বলে তৃণমূলের পাশে দাঁড়িয়েছেন গুরুং। বুধবার এমনভাবেই সিবিআই এবং বিজেপির ভূমিকার কড়া নিন্দা করেন তিনি। এ ছাড়া, গেরুয়া দলের দুই বিধায়ক মুকুল রায় ও শুভেন্দু অধিকারিকেও নারদ মামলায় গ্রেফতারের দাবি তুলেছেন গুরুং। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে নিশ্চুপ গুরুংয়ের বিরুদ্ধ শিবিরের বিনয় তামাং, অনীত থাপা। আদালত ও আইনি প্রক্রিয়া বলে ঘরোয়া আলোচনায় বিষয়টি এড়িয়ে গেলেও তৃণমূলের পাশে থাকার কোনও বার্তা দেননি দুই মোর্চা নেতা। তা নিয়ে নানা জল্পনা, আলোচনা শুরু পাহাড়ে।
গুরুং বলেন, ‘‘তৃণমূলের মন্ত্রী, বিধায়কদের যে ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে, তার নিন্দার ভাষা নেই। ভোটে গো-হারা হেরে বিজেপি যা করছে তা গণতন্ত্রের পক্ষে উদ্বেগের। আর একই ভাবে অভিযুক্ত হয়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারিরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এটা কোন দেশের আইন।’’ দলীয় সূত্রের খবর, পাহাড়ের ভোটে বিনয়পন্থীরা গুরুংয়ের শিবিরের থেকে ভাল ফল করেছেন। কালিম্পং আসনটি জেতা ছাড়াও বাকি দু’টি আসনে দ্বিতীয়স্থানে রয়েছে। গুরুংয়ের প্রার্থীদের সঙ্গে ভোট কাটাকাটি না হলে দু’টি আসনও জেতা যেত বলে মনে করছেন বিনয়পন্থীরা। গুরুংয়ের অনুগামী অনেকেই বরাবর পদ্মফুলে ভোট দিয়ে অভ্যাসবশত এবারও তাই করেছেন বলে পাহাড়ে আলোচনা রয়েছে। তা হতে পারে বলে মেনে নিয়েছেন গুরুং। তাতে বিজেপির সঙ্গে তাঁর কোনও সমঝোতা ছিল কি না তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। তিনি যে তৃণমূল নেত্রীর পাশেই রয়েছে তা বোঝাতে বিজেপির বিরোধিতায় সুর চড়িয়েছেন বলে পাহাড়ের রাজনৈতিক নেতারা মনে করছেন। গুরুং আরও বলেন, ‘‘বিজেপিকে রাজ্যের মানুষ কার্যত অস্বীকার করেছে। তা মানতে না পেরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে সরাতে এই ধরণের চক্রান্ত হচ্ছে। আমরা তৃণমূল নেত্রীর পাশেই থাকব। করোনায় দেশ দিশেহারা। বিজেপি ক্ষমতা দখলের জন্য বাংলায় অশান্ত পরিস্থিতি তৈরি করছে। একে সবাই মিলে রুখতে হবে।’’
পাহাড়ে দুই মোর্চায় তৃণমূলের পাশে থাকার কথা বলছে। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর এক নিকট আত্মীয়ের করোনায় মৃত্যুর পর বিনয় তামাং-রা শোকবার্তা দেন। সেখানে এই গ্রেফতারি নিয়ে কেন চুপ বিনয়, অনীতেরা। তাঁরা কোনও মন্তব্য করতে চাননি। দলীয় মহলের দাবি, আইনের বিষয়ে ঢুকে তাঁরা কোনও পক্ষকে খুশি করতে চান না। নেতারা মনে করছেন, ভোটে একটি আসনে জেতা, দুটি আসনে দ্বিতীয় হয়ে পাহাড়ে তাঁরাই মোর্চা হিসাবে মূল চালিকা তা প্রমাণ করেছেন। তার পরেও শাসক দলের তরফে কোনও পুরস্কার মেলেনি। উল্টে, অনীত থাপাকে জিটিএ চেয়ারম্যানের পদ ফেরানো হয়নি। আবার ভোটে পাহাড়ের তৃণমূল গুরুং শিবিরের পাশে থাকলেও তা নিয়ে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সব মিলিয়ে শাসক শিবিরের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে বিনয়দের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy