প্রতীকী ছবি
উত্তর দিনাজপুরে আরও ২৮ জনের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট ‘পজ়িটিভ’ মিলল। মঙ্গলবার রাতে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে জেলা প্রশাসনের কাছে ওই রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ২৮ জন জেলার বাসিন্দা। এক জন মহিলা বিহারের বারসইয়ের বাসিন্দা। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, ২৫ জনের বাড়ি করণদিঘি ব্লকে। দু’জনের রায়গঞ্জ ও এক জনের বাড়ি ইটাহার ব্লকে। এই নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত বাসিন্দার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮৩।
জেলা স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, ১০-১২ দিন আগে ২৭ জনের লালারস সংগ্রহ করা হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত তাঁদের করোনার কোনও উপসর্গ ধরা পড়েনি। তাই তাঁদের হেমতাবাদের সারি হাসপাতালে ভর্তি করানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এক জনকে রায়গঞ্জের কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করানো হবে। তাঁরা সকলেই দিল্লি ও মুম্বইয়ে শ্রমিকের কাজ করতেন। মুম্বই ফেরত বারসই এলাকার ওই মহিলার লালারস দু’সপ্তাহ আগে সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।
জেলায় করোনা মোকাবিলা করতে জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য দফতর ব্যর্থ— এই অভিযোগে করোনা আক্রান্তদের সুচিকিৎসা ও জেলাকে করোনামুক্ত করতে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার দাবিতে বুধবার রায়গঞ্জ শহরের ঘড়ি মোড়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বিক্ষোভ দেখায় সিপিএম। দলের জেলা সম্পাদক অপূর্ব পালের অভিযোগ, দু’সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ভিন্ রাজ্য থেকে জেলায় ফেরা শ্রমিকদের লালারস পরীক্ষা করছে না জেলা স্বাস্থ্য দফতর। তাঁদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তার জেরে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তাঁর আরও অভিযোগ, করোনা আক্রান্ত রোগীদের একাংশকে কোভিড হাসপাতালে ভর্তি না করিয়ে বাড়িতে বা ‘সারি’ হাসপাতালে রাখা হচ্ছে। তাতে তাঁদের পরিবারের লোকজন, গোষ্ঠী ও সারি হাসপাতালের রোগীদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা বাড়ছে।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধানের দাবি, আইসিএমআর-এর গাইডলাইন মেনেই জেলায় করোনা মোকাবিলা ও চিকিৎসা চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy