প্রতীকী ছবি।
সংক্রমিতের সংখ্যা ছুঁতে চলেছে ৪০ হাজার। সঙ্গে অবশ্য বাড়ছে সুস্থ হওয়ার সংখ্যাও। তবে এরই মধ্যে উত্তরবঙ্গ জুড়ে করোনা চিকিৎসার পরিকাঠামো নিয়ে নানা প্রশ্ন সামনে এসেছে। সোমবার উত্তরবঙ্গ সফরে এলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার বিষয়টি নিয়ে সবিস্তার আলোচনা হবে বলেও সংশ্লিষ্ট মহলের মত। বিশেষ করে উপসর্গযুক্ত, জরুরি পরিস্থিতিতে চিকিৎসা পরিষেবা দরকার— এমন রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতরও। জেলাগুলিতে কোভিড হাসপাতাল থাকলেও উন্নত চিকিৎসার স্বাস্থ্য পরিকাঠামো এখনও পর্যাপ্ত গড়ে ওঠেনি বলে চিকিৎসকমহলেরই একাংশের দাবি। এমনকি, আইসিইউ’তে রাখা আক্রান্তদের চিকিৎসায় যাঁরা আছেন, তাঁরা ততটা দক্ষ কিনা, তাই নিয়েও বিভিন্ন সময়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত করোনার সংক্রমণ নিয়ে চিকিৎসাধীন তিন জনের মৃত্যু হয়েছে উত্তরবঙ্গে। শিলিগুড়িতে মারা যান ২ জন। একজন আলিপুরদুয়ার কোভিড হাসপাতালে।এ দিন উত্তরবঙ্গে আক্রান্তের সংখ্যা অন্তত ৪০০ জন। এখন গড়ে রোজ উত্তরবঙ্গে ৫০০ জন আক্রান্ত হচ্ছেন। এদিন সুস্থ হয়েছেন অন্তত ৪৩৫ জন। প্রশাসনিক বৈঠকে স্বাস্থ্য পরিষেবার প্রসঙ্গ উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এরই মধ্যে কাওয়াখালির কোভিড হাসপাতাল নিয়েও তৈরি হয়েছে নতুন মাথাব্যথা। এই হাসপাতালে আক্রান্তদের উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনে ‘রেফারাল’ হাসপাতাল করা হয়েছিল। সেখানে সম্প্রতি সরকারি ব্যবস্থায় চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকে দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। উত্তরবঙ্গে করোনা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক (ওএসডি) সুশান্ত রায়কে অন্ধকারে রেখেই সে সব করা হয়েছে বলে অভিযোগ। আরও দাবি, ওই হাসপাতালে সরকারি চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের তুলে নেওয়া হয়েছে। সেখানে উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা দিতে ৮ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের দল গড়ে দেওয়া হয়েছিল। আইসিইউ দেখভালের জন্য দু’জন বিশেষজ্ঞকে অন্য জায়গা থেকে এখানে এনেছিলেন ওএসডি। এখন তাঁদের কার্যত কাজ নেই। অথচ উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলা থেকে করোনা আক্রান্ত জটিল পরিস্থিতির রোগীদের এখানেই এতদিন পাঠানো হচ্ছিল। সুশান্তবাবু বলেন, ‘‘এ নিয়ে কিছু বলার নেই।’’ এতে মাটিগাড়ায় সরকারি কোভিড হাসপাতালের উপর চাপ বাড়ছে।
দার্জিলিঙের সিএমওএইচ প্রলয় আচার্য বলেন, ‘‘কাওয়াখালি কোভিড হাসপাতালে সরকারি ভাবে নিখরচায় চিকিৎসা পরিষেবা দিতে ১০০টি শয্যা থাকছে। নার্সিংহোমই পরিষেবা দেবে।’’ জেলাশাসক এস পুন্নমবলম জানান, পরিষেবার যাতে খামতি না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। প্রশাসনের নজর থাকবে। পরিষেবার ঘাটতি হলে আগের মতো পুরোটাই ফের সরকারি ভাবে দেখা হবে।জেলায় জেলায় অল্প উপসর্গযুক্তদের সেফ হোমে রাখতে হচ্ছে। তাঁদের মধ্য অনেকের পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে বলে রিপোর্ট মিলছে। সুশান্তবাবু সে কথা স্বীকার করে নিয়ে জানান, ‘‘গোটা উত্তরবঙ্গে কোভিড হাসপাতালে শয্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। সব মিলে এখন ১৬৮টি আইসিইউ শয্যা রয়েছে। তা আরও ৮০টির মতো বাড়ানো হচ্ছে।’’ সেফ হোমে চিকিৎসক পাঠানো হবে। তা ছাড়া, ভেন্টিলেটরের মতো প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামের ব্যবস্থাও হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy