প্রতীকী ছবি।
এই করোনা পরিস্থিতিতে উদ্বেগের প্রধান কারণ বাজি-পটকা। স্বাস্থ্য দফতর চাইছে, এ বার দেওয়ালিতে নিষিদ্ধ হোক বাজি। তা না হলে, করোনা আক্রান্ত বা সেরে ওঠা করোনা রোগী যারা পোস্ট কোভিড লাঙ্কস ফাইব্রিওসিসে আক্রান্ত তাঁরা বিপদে পড়বেন। সোমবার এ নিয়ে জেলাপ্রশাসনের একাংশের সঙ্গে বৈঠক করবেন উত্তরবঙ্গে করোনা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক তথা ওএসডি সুশান্ত রায়। প্রশাসনের তরফে কী ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব তা নিয়ে প্রাথমিক আলোচনার পর অন্য জেলা প্রশানগুলিকেও সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হবে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে।
ওএসডি বলেন, ‘‘সোমবার জলপাইগুড়ি জেলাপ্রশাসন, জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ সকলকে নিয়ে বৈঠক হবে। সেখানে দেওয়ালি, কালী পুজোয় বাজি পোড়ানো রুখতে কী ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব তা নিয়ে আলোচনা হবে। এই পরিস্থিতিতে বাজির ধোঁয়া করোনা রোগীদের জন্য ক্ষতিকর। আমরা চাই এ বছর অন্তত দেওয়ালিতে বাজি বন্ধ হোক।’’ তিনি জানান, বিষয়টি আদালত পর্যন্তও গিয়েছে। চিকিৎসকরা চাইছেন বাজি এ বছর নিষিদ্ধ করা হোক। সোমবার বৈঠকে আলোচনার পর অন্য জেলাপ্রশাসনের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানান।
চিকিৎসকরাও মনে করছেন এ বছর করোনা পরিস্থিতিতে বাজির ধোঁয়া বা জোরাল শব্দ দু’টোই বিপজ্জনক। কারণ, বাজির ধোঁয়ায় কার্বন মনোঅক্সাইড, সালফার ডাই অক্সাইডের মতো অনেক ধরনের টক্সিক গ্যাস থাকে। করোনায় ফুসফুসে হয় বলে আক্রান্তদের কাছে ওই গ্যাস ভয়ের কারণ। তাদের এমনিতেই শ্বাসকষ্টের সমস্যা,বাজির ধোঁয়ায় তা বেড়ে যাবে বলে জানান বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শেখর চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘‘ওই রোগীরা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়বেন। তা প্রাণঘাতী হতে পারে। সে জন্য এবছর এই পরিস্থিতিতে বাজি না পোড়ানোই ভাল।’’ চিকিৎসক জানান, ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস এবং ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিস যাদের রয়েছে তাঁদের কষ্ট হবে। অ্যাজমা রোগী এই ধরনের কোমর্বিডিটি নিয়ে যারা করোনায় আক্রান্ত তাঁদের মারাত্মক ক্ষতি হবে।
কালী পুজো এবং দেওয়ালিতে উত্তরবঙ্গ জুড়েই বাজির দাপট চলে। অতীতেও দেখা গিয়েছে, শব্দবাজি নিষিদ্ধ বা নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে বেঁধে দিলেও সে সবের পরোয়া করে না অনেকেই। গভীর রাত পর্যন্ত শব্দবাজির দাপটে অতিষ্ট হন বাসিন্দারা। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের চিকিৎসক কল্যাণ খান এবং মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ নির্মল বেরা জানান, করোনা আক্রান্তরা ভয়ে, অবসাদে রয়েছে। বাজির শব্দ বেশি হলে মানসিক অবসাদ, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে দেয়। বাজির শব্দে হার্ট অ্যাটাক ঘটতে পারে। সে কারণে এ বছর এটা বন্ধ হওয়াই ভাল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy