ছবি: সংগৃহীত।
করোনা আক্রান্ত হলেন মালদহের বৈষ্ণবনগরের বিজেপি বিধায়ক। এই প্রথম জেলায় বিধায়ক আক্রান্ত হলেন। শনিবার রাতে মালদহে ৪৯ জনের লালারসের রিপোর্ট পজ়িটিভ হয়েছে। বিধায়ক থেকে শুরু করে মালদহ মেডিক্যালের ইন্টার্ন, চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের একাধিক নার্স, পুরাতন মালদহের মৌলপুর হাসপাতালে এক স্বাস্থ্যকর্মী, জেলা প্রশাসনিক ভবনের দুই কর্মীও রয়েছেন। এ দিনও সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ইংরেজবাজার শহরে। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ১০৮১।
ইতিমধ্যে সংক্রমিত হয়েছেন জেলা পরিষদের একাধিক কর্মাধ্যক্ষ, সদস্য থেকে শুরু করে পঞ্চায়েতের প্রধান ও অন্য জনপ্রতিনিধিরা। বৈষ্ণবনগরের বিধায়কের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন-চারদিন আগে তাঁর জ্বর হয়েছিল, কিছু উপসর্গও ছিল। সে কারণে তিনি নিজে থেকেই লালারসের পরীক্ষা করান এবং শনিবার রাতে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। বিধায়ক বৈষ্ণবনগরের সরকারটোলায় নিজের বাড়িতেই গৃহ নিভৃতবাসে রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘জনপ্রতিনিধি হওয়ার সুবাদে প্রতিদিন প্রচুর মানুষ বাড়িতে আসেন, এর মধ্যেই হয়তো আক্রান্ত কারও সংস্পর্শে চলে এসেছিলাম।’’
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ৫ জন নার্স আক্রান্ত হয়েছে। ফলে ওই হাসপাতালে পরিষেবা দেওয়া নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। এ দিকে, মালদহ মেডিক্যালের ইন্টার্নদের মধ্যেও একই কারণে আতঙ্ক রয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্তদের সংস্পর্শে কারা এসেছিলেন তাঁদের চিহ্নিত করে লালারসের নমুনা সংগ্রহ করার চেষ্টা চলছে।
কোথায় কত
জেলা আক্রান্ত* সুস্থ
কোচবিহার ৩৪৮ ৩০১
আলিপুরদুয়ার ২১৬ ১৭৯
জলপাইগুড়ি ৫৭১ ৩০৮
দার্জিলিং ৯০৫ ৬১০
কালিম্পং ৫৭ ৫৪
উত্তর দিনাজপুর ৪৪৫ ৩০৯
দক্ষিণ দিনাজপুর ৩১৫ ২৩৫
মালদহ ১০৮১ ৫১০
মোট ৩৯৩৮ ২৫০৬
*১২ জুলাই রাত পর্যন্ত
এ দিকে নতুন করে জেলার যে ৪৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে ইংরেজবাজার শহরের রয়েছেন ১৭ জন, রতুয়া ২ ব্লকের ১১ জন, রতুয়া ১ ব্লকের ৬ জন, চাঁচল ১ ব্লকের ৫ জন, ইংরেজবাজার ও কালিয়াচক ৩ ব্লকের তিন জন, পুরাতন মালদহ পুরসভা এলাকার দু'জন এবং একজন করে কালিয়াচক ১ এবং মানিকচক ব্লকের। বুধবার থেকে সাত দিনের জন্য ইংরেজবাজার শহরের লকডাউন চলছে। তার পরেও শহরে একের পর এক আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘করোনা সংক্রমিত রোগীদের সংস্পর্শে যাঁরা এসেছিলেন তাঁদের নমুনা পরীক্ষা করতে গিয়েই শহরে এত সংখ্যক সংক্রমণ ধরা পড়ছে। তবে আক্রান্তদের বেশির ভাগের শরীরে বাহ্যিক উপসর্গ না থাকায় বেশির ভাগকে গৃহ নিভৃতবাসে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy