প্রতীকী চিত্র
লকডাউনে ভিন্ রাজ্য থেকে বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি। তিন মাস আগে বিয়েও করেন। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে হওয়ায় সদ্যবিবাহিত স্ত্রী ও পরিবারকে রেখে ২২ দিন আগে চেন্নাইয়ে কাজে ফিরেছিলেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, বিদ্যুৎ টাওয়ার তৈরির কাজ করতে গিয়ে ৯ সেপ্টেম্বর টাওয়ার থেকে নীচে পড়ে যান মালদহের বুধিয়া জোতবসন্ত গ্রামের জুবাইর আলি। হাসপাতালে তাঁর অস্ত্রোপচার করা হয়। সোমবার গভীর রাতে তিনি মারা যান। পরিবারের দাবি, মৃত্যুর পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, জুবাইরের করোনা রিপোর্ট পজ়িটিভ হওয়ায় তাঁর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে না। একেই ছেলের মৃত্যু, তার উপর তাঁকে শেষ দেখা না দেখতে পেরে বাড়িতে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন সালেহা বিবি। স্বামীকে হারিয়ে বারবার বেহুঁশ হচ্ছেন স্ত্রী নাসিমা। কয়েক দিন আগে মুম্বইয়ে কাজে গিয়ে কালিয়াচক ২ ব্লকের পঞ্চানন্দপুর এলাকার এক পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিল। তার রেশ কাটতে না কাটতেই সোমবার গভীর রাতে মৃত্যু হল জেলার আরও এক পরিযায়ী শ্রমিকের।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর কুড়ির জুবাইররা পাঁচ ভাই হলেও বড় তিন দাদা আলাদা থাকেন। মা-বাবা ও ছোট ভাইকে নিয়ে সংসার চালাতেন জুবাইর। ১৭ বছর বয়স থেকে ভিন্ রাজ্যে দিনমজুরের কাজ করেন। লকডাউনে অন্য শ্রমিকদের সঙ্গে চেন্নাই থেকে বাড়িতে ফিরে এসেছিলেন। তাঁর কাকা জাকির হোসেন বলেন, "জুবাইরের দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ওই দাদা সাবুরুদ্দিন এবং এক ভাইপো চেন্নাই পৌঁছেয়। সোমবার রাতে জানতে পারি জুবাইর বেঁচে নেই।" সালেহা বিবি বলেন, "এলাকায় কাজ নেই বলে ছেলেকে ভিন্ রাজ্যে যেতে হয়েছে। এ ভাবে যে ছেলেকে হারাব ভাবতে পারছি না।"
নরহট্টা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তহিবুর রহমান বলেন, "পরিযায়ী শ্রমিক যাঁদের জবকার্ড রয়েছে, তাঁরা আবেদন করলেই ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজ দেওয়া হচ্ছে। জুবাইর আবেদন করেছিলেন কিনা জানি না। তবে ওঁরা যে কাজ করেন সেই কাজ জেলায় নেই। এখানে তার মজুরিও কম।"
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy