সুরক্ষায়: ব্যারিকেড দেওয়া হচ্ছে বাঘাযতীন কলোনিতে। নিজস্ব চিত্র
উত্তরবঙ্গে করোনায় আক্রান্ত হয়ে তৃতীয় ব্যক্তির মৃত্যু হল। প্রথম জন কালিম্পংয়ের মহিলা, দ্বিতীয় জন শিলিগুড়িরই বাসিন্দা এক রেলকর্মী। এ বার যিনি মারা গেলেন, ৫৮ বছরের সেই ব্যক্তির বাড়ি শিলিগুড়ির ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাঘা যতীন কলোনিতে। দ্বিতীয় জনের মতো এঁর ক্ষেত্রেও রক্তচাপ, ফুসফুসের সমস্যা ছিল। তিনি হৃদরোগে ভুগছিলেন বলেও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে দু’মাস আগে রেলকর্মীর মৃত্যুর সময়ে যে ভাবে জবাব এড়িয়ে গিয়েছিল স্বাস্থ্য দফতর ও রেল, এ দিন সেটা হয়নি। কো-মর্বিডিটি নিয়ে কেউ কিছু বলেননি। স্বাস্থ্য দফতরের এ দিনের রিপোর্ট অনুযায়ী, শিলিগুড়ি পুর এলাকা ও দার্জিলিং জেলায় সংক্রমিত হয়েছেন আরও ১৭। কালিম্পংয়ে দুই সিভিক ভলান্টিয়ারের শরীরেও করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
স্বাস্থ্য দফতর ও মৃত ব্যক্তির পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, উনি দিন কয়েক আগেই বলছিলেন, শরীর ভাল লাগছে না। ৩ জুন ছেলে তাঁকে প্রধাননগরের একটি নার্সিংহোমে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সেখান গেলে তাঁকে কাওয়াখালির সারি হাসপাতলে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই দিনই তার লালারস পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাতে রিপোর্ট মেলে। এ দিন সকালে সারি হাসপাতালেই তাঁর মৃত্যু হয়। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রলয় আচার্য বলেন, ‘‘করোনায় আক্রান্ত হয়ে এক জনের মৃত্যু হয়েছে সারি হাসপাতালে। নতুন করেও কয়েক জনের শরীরে সংক্রমণ মিলেছে।’’ কিন্তু কী করে মৃত ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হলেন, তা নিয়ে পরিষ্কার কিছু বুঝতে পারছে না স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা। এই ব্যক্তির বাইরে থেকে ফেরার কোনও তথ্যও নেই। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রক্তচাপ জনিত সমস্যা ছিল। গত কয়েক দিন ধরে খাবারে রুচি ছিল না। তবে ৩ জুন জ্বর ছিল, মাথা ভার ছিল। এলাকার কাউন্সিলর নুরুল ইসলাম জানান, ওই ব্যক্তি ফুসফুসের অসুখে ভুগছিলেন। হৃদরোগীও ছিলেন। এ দিন সন্ধ্যার দিকে মৃতদেহ সৎকারের জন্য প্রশাসনের তরফে নিয়ে যাওয়া হয়।
মৃত ব্যক্তি ছাড়া নতুন আক্রান্তদের মধ্যে কাশিয়াঙের ৫ জন রয়েছেন। বৃহস্পতিবারই তাঁদের রিপোর্ট এসেছিল। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, সারিতে ভর্তি আরও ৭ জনের শরীরে করোনার সংক্রণ মিলেছে। তার মধ্যে ৫ জন শিলিগুড়ি পুর এলাকা বা দার্জিলিং জেলার বাসিন্দা। রয়েছেন খড়িবাড়ির এক ব্যক্তিও। তিনি পুণে থেকে ফিরেছিলেন। পুরসভার ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এক জন। তিনি সম্প্রতি মাথাভাঙা থেকে ফেরেন। দেবীডাঙার যে পরিবারের সাত জন সম্প্রতি সংক্রমিত হয়েছেন, তাঁদের আরও এক জনের দেহে এ দিন সংক্রমণ মেলে। সোনাদাতেও তাঁদের বাড়ি রয়েছে। গঙ্গারাম চা বাগান এবং ফাঁসিদেওয়ার দু জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তাঁরা মহারাষ্ট্র এবং দিল্লি থেকে ফেরেন। পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব যে ওয়ার্ডের বাসিন্দা, সেই ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে এবং ১২ নম্বর ওয়ার্ডে কলকাতা থেকে ফেরা দু’জনের শরীরে সংক্রমণ মিলেছে। বাকি চারজন কোন এলাকার বাসিন্দা প্রশাসন সূত্রের তা এখনও জানা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy