Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Coronavirus

সংক্রমণের আশঙ্কায় প্রভাব সিনেমা হলেও

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক আড়াই মাইলের ওই মাল্টিপ্লেক্সের এক কর্তা জানিয়েছেন, তারা সবধরনের সচেতনতা অবলম্বন করছেন।

সাবধানতা: শপিংমলে ঢোকার সময় দেওয়া হচ্ছে স্যানিটাইজ়ার। শিলিগুড়িতে। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক

সাবধানতা: শপিংমলে ঢোকার সময় দেওয়া হচ্ছে স্যানিটাইজ়ার। শিলিগুড়িতে। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২০ ০২:২৭
Share: Save:

গত সপ্তাহেই আড়াই মাইলের একটি মাল্টিপ্লেক্সে দর্শকদের ভিড় ছিল স্বাভাবিক। হল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, প্রত্যেকদিন গড়ে ২ হাজারের বেশি দর্শক হতো। কিন্তু এই সপ্তাহের শেষ তিনদিন ছবিটা একেবারেই উল্টো। রবিবার সারাদিনে সাকুল্যে ৫০০ জন দর্শক নিয়েই সিনেমা চলেছে বলে ওই মাল্টিপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। একই ছবি শিলিগুড়ির একাধিক মাল্টিপ্লেক্স এবং অন্য সিনেমা হলগুলিতে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের আতঙ্কে সিনেমাপ্রেমীরা অনেকেই হলমুখো হচ্ছেন না বলে মনে করছেন হল কর্তৃপক্ষ। এর প্রভাব পড়েছে শপিংমল এবং খাবারের দোকানগুলিতেও। তাদের বিক্রিও প্রায় তলানিতে ঠেকেছে বলে সূত্রের খবর।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক আড়াই মাইলের ওই মাল্টিপ্লেক্সের এক কর্তা জানিয়েছেন, তারা সবধরনের সচেতনতা অবলম্বন করছেন। দর্শকদের হলে ঢোকার মুখে স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার করে এবং হাতের গ্লাভস দিয়ে হলের ভিতরে ঢোকানো হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘করোনাভাইরাসের আতঙ্কের মধ্যে পদস্থকর্তাদের নির্দেশে সাবধান হয়ে আমরা সিনেমা দেখাচ্ছি। দর্শকের পরিমাণ একেবারেই কমেছে।’’ একটি মাল্টিপ্লেক্সের এক কর্তা বলেন, ‘‘শো কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতেও দর্শকাসন ফাঁকাই থাকছে।’’ তিনি জানান প্রত্যেকদিন ২১টি করে শো হতো, এখন তা কমিয়ে ১৬টি করা হয়েছে। পরে আরও কমিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর।

মাল্টিপ্লেক্সগুলিকে কেন্দ্র করে ছোট থেকে বড় নানাধরনের ব্যবসা হয়ে থাকে। তার মধ্যে বিভিন্ন খাবারের দোকান-রেস্তোরাঁও রয়েছে। সেই জায়গাগুলিও ফাঁকা থাকছে বলে অভিযোগ। বিক্রিতে টান পড়ায় সমস্যায় পড়েছেন ব্যবসাগুলির সঙ্গে যুক্ত মানুষজন। ওই ব্যবসায়ীদের দাবি, গত সপ্তাহেও এমন পরিস্থিতি হয়নি। অনেকেই আসতেন মুখে মাস্ক পড়ে। কিন্তু গত ২-৩ দিন ধরে প্রশাসনের তরফে সাবধানতা এবং স্কুল বন্ধ থেকে একের পর এক প্রশাসনিক পদক্ষেপ মানুষকে আরও সাবধানি করে তুলেছে। সেবক রোডের চেকপোস্ট এলাকার একটি শপিংমলের এক ম্যানেজার জানান, তাদের প্রত্যেকদিন কয়েক লক্ষ টাকার বিক্রি হতো। বর্তমানে তা অনেক কমে গিয়েছে। হিলকার্ট রোডে একটি সিনেমা হলের সামনে চপ, ঘুগনি, ফুচকার দোকান রমরমিয়ে চলে। সেখানেও বিক্রি অনেকটাই কমেছে বলে দোকানদাররা জানান। আড়াই মাইলের মাল্টিপ্লেক্সের সামনে ফুচকা বিক্রি করেন সমর দাস। তিনি বলেন, ‘‘সিনেমা শুরু বা শেষের আগে ২০০-৩০০ টাকার বিক্রি হতো। এখন ভিড়ও কম, বিক্রিও তলানিতে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Cinema Hall Shopping Mall
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy